ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নারী রোগীর পেটে লাথি মারল শেবাচিমের চিকিৎসক

প্রকাশিত: ০০:০৯, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

নারী রোগীর পেটে লাথি মারল শেবাচিমের চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সদ্য সন্তান প্রসব হওয়া আমেনা বেগম (২২) নামের এক রোগীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার হাসপাতালের গাইনী বিভাগের এ ঘটনায় রোগীর স্বামীকেও মারধর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর চিকিৎসকেরা রোগীর জরুরী অস্ত্রোপাচার করেন। রোগী আমেনা বেগম নগরীর ১২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দা শাহিন ঢালীর স্ত্রী। আমেনা বেগমের স্বামী শাহিন ঢালী জানান, তার স্ত্রী আমেনা বেগম গত ১২ দিন পূর্বে নিজ বাসায় সন্তান প্রসব করে। এরপর থেকে তার রক্ত শূন্যতার পাশাপাশি পেটে ব্যাথা দেখা দিলে শনিবার রাতে আমেনাকে শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাতে একজন ইন্টার্নী চিকিৎসক তার স্ত্রীকে দেখে এক ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করার পরামর্শ দেন। এরপর রক্ত ম্যানেজ করা হলেও ওই চিকিৎসকের আর খোঁজ মেলেনি। এরপর চিকিৎসকদের কক্ষে গিয়ে একাধিকবার বলা হলেও আর কোন চিকিৎসক আসেনি। শাহিন ঢালী আরও জানান, রবিবার সকাল সাতটার দিকে রাকিব নামের এক ইন্টার্নী চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাপত্রে উলে¬খ করেন, ‘রক্ত ম্যানেজ করতে না পারায় রোগীর অবস্থা উন্নতি হচ্ছেনা’। এসময় রক্তের ব্যাগ ম্যানেজের পরেও চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এমন কথা কেন উল্লেখ করেছেন এনিয়ে রোগীর স্বামী শাহিন ও ইন্টার্নী চিকিৎসক রাকিবের মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হয়। এসময় একদল ইন্টার্নী চিকিৎসক এসে রোগীর সামনেই শাহিন ঢালীকে মারধর করে। এসময় তাকে রক্ষার জন্য তার অসুস্থ্য স্ত্রী আমেনা বেগম এগিয়ে আসলে এক চিকিৎসক তার (আমেনা) পেটে লাথি মারেন। ফলে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শিখা সাহা বলেন, রোগীর আগে থেকেই রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। রবিবার সকালে রোগীর অপারেশন করা হবে, এ কথা আগেই স্বজনদের জানানো সত্বেও তারা ধৈর্য না ধরে ইন্টার্নী ডাক্তারদের ওপর চড়াও হয়। এসময় ইন্টার্নী চিকিৎসকেরা প্রতিবাদ করায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এর পরক্ষনেই রোগীর অস্ত্রোপাচার সম্পন্ন করা হয়েছে। কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, শেবাচিম হাসপাতালে এক রোগীর পেটে ইন্টার্নী চিকিৎসক লাথি মারার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×