ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে স্থানীয়রা

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে স্থানীয়রা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা নির্যাতনের শিকার হয়ে যখন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছিল, তখন স্থানীয়দের মধ্যে বর্মী সেনাদের প্রতি ক্ষোভ ও রোহিঙ্গাদের প্রতি এক ধরণের মায়াকান্না পরিলক্ষিত হয়েছিল। অনুপ্রবেশ ও বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের নানা অপকর্মের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে এখন আর সেই আফসোস নেই। দশ বছর বয়সে স্থানীয় যে শিশু বইখাতা নিয়ে লাইন ধরে পাঠশালায় যাচ্ছে, ওই বয়সের রোহিঙ্গা শিশু (মেয়ে) মাথায় এবং কোমরে ত্রাণের বস্তা ও বালতি নিয়ে ফিরছে আশ্রয় কেন্দ্রে। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা আপসোস করলেও কিন্তু রোহিঙ্গাদের জন্য আর মায়াকান্না করছেননা। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এদের আশ্রয় দেয়ার পর তাদের বিভিন্ন অপকর্ম ও বেআইনী কর্মকান্ডে অতীষ্ট হয়ে উঠছে স্থানীয় অধিবাসিরা। সূত্র জানায়, রোহিঙ্গারা স্বল্পদামে মজুরি কাজে শ্রম দেয়ায় স্থানীয় দিনমজুররা বেকায় হয়ে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এক শ্রেণীর এনজিও এবং ঠিকাদাররা রোহিঙ্গা ক্যাম্প তৈরী ও সেখানে বিভিন্ন কাজে স্বল্পদামে দিনমজুর হিসেবে ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা যুবকদের। রোহিঙ্গাদের অনেকে তরিতরকারি, মাছ, সবজি সওদা সহ দোকান খোলে বসেছে ক্যাম্প অভ্যন্তরে ও আশপাশের বাজারে। দোকানিরা স্বল্পদামে ওসব পণ্য বিক্রি করায় লোকাল দোকানিরা চরম বেকায়দায় পড়েছে। বিক্রি করতে না পেরে দোকানেই নষ্ট হতে চলছে তাদের বিভিন্ন পণ্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি করতে পারছেননা স্থানীয় দোকানিরা। স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা আগমনের পর গত দুইমাসে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গার হাতে এ পর্যন্ত খুন হয়েছে স্থানীয় দুই যুবক। আহত হয়েছে পুলিশের এসআই এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ ১০ গ্রামবাসি। এদিকে উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে অন্তত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরন সহ সব ধরণের সমস্যা সামাল দিতে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। যানজটসহ স্থানীয়রা বিভিন্ন দুর্ভোগে পড়েছেন। তারপরও রোহিঙ্গাদের মূখে কৃতজ্ঞতার বুলি নেই। রোহিঙ্গারা বলে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ তাদের শুধু আশ্রয় দিয়েছে। খাবার ও লালনপালন করছে বিদেশীরা।
×