ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্যারাডাইস কেলেঙ্কারিতে ১০ বাংলাদেশি

প্রকাশিত: ২০:০৯, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

প্যারাডাইস কেলেঙ্কারিতে ১০ বাংলাদেশি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বারমুডাভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফাঁস হওয়া প্যারাডাইস পেপার্সখ্যাত গোপন নথিতে এবার ১০ বাংলাদেশির নাম এসেছে। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন। শুক্রবার কর ফাঁকি দিয়ে পাঁচ লাখ ২০ হাজার অফশোর প্রতিষ্ঠান, এসবে গোপনে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগকারী ও এর মধ্যস্থতাকারীদের নাম প্রকাশ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। তালিকায় রয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানের নামও। এতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ক্রমানুযায়ী উল্লেখ করা রয়েছে আউয়াল-নাসরিন ফাতেমা, আউয়াল-তাবিথ মো., আউয়াল-তাফসির মোহাম্মদ, চৌধুরী-ফয়সাল, মিন্টু-আবুদল আউয়াল, মোগল-ফরিদা ওয়াই, উল্লাহ-শহিদ, তাজওয়ার মো. আউয়ালের অভিভাবক হিসেবে আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমাদ-সামির, আউয়াল-তাজওয়ার মোহাম্মদ। তালিকায় থাকা একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি হলো ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড। তাদের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১২। প্যারাডাইস পেপারস হচ্ছে বিশ্বের ১৮০টি দেশের রাজনীতিক, সেলিব্রিটি ও বিত্তশালী মানুষের অর্থনৈতিক লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের এক বিশাল ডাটাবেজ। এই ব্যক্তিরা কর ফাঁকি দিতে বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে (কর দিতে হয় না বা সামান্য হারে কর দেওয়া যায় এমন দেশ) বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সম্প্রতি তাদের কর ফাঁকি দেওয়া বিষয়ের এক কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথি ফাঁস হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ নথিই প্রকাশ হয়েছে বারমুডার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাপালবি থেকে। এসব নথি তদন্ত করে দেখছেন বিশ্বের ৬৭টি দেশের ৩৮১ জন সাংবাদিক। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে) নামক সাংবাদিকদের একটি সংগঠন এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে কর ফাঁকি দিয়ে অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ করে আইসিআইজে। অ্যাপলবি ছাড়াও বারমুডার আরও দুটি কর্পোরেট সার্ভিস ফার্ম এসটেরা ও এশিয়াসিটি ট্রাস্ট থেকে পাওয়া এক কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথিকে প্যারাডাইস পেপার্স নাম দিয়ে ফাঁস করে। আইসিআইজের কাছ থেকে এসব নথি যায় বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ ৬৭টি দেশের ১০০টি সংবাদমাধ্যমের কাছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৩৮২ জন সাংবাদিক নথির তথ্য নিয়ে তদন্তে নামে। উল্লেখ্য, প্যারাডাইস পেপার্সের আগে গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতেও বাংলাদেশের ২১ ব্যক্তি ও ৩টি প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ১৮টি ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছিল।
×