ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার সিলেটকে হারাল রাজশাহী

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

এবার সিলেটকে হারাল রাজশাহী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিলেটে সিলেট সিক্সার্সের কাছে হেরেছিল রাজশাহী কিংস। এবার ঢাকায় সিলেটকে হারিয়ে দিয়েছে রাজশাহী। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারায় রাজশাহী। ম্যাচটিতে টস জিতে রাজশাহী আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার বিপিএলে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে টস জিতলেই দলগুলো ফিল্ডিং করতে চাচ্ছে। পরে রান অতিক্রম করে জেতার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। সেই সুযোগটিই টস জেতা দলগুলো কাজে লাগাতে চায়। রাজশাহীও যেমন কাজে লাগাল। আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সাব্বির রহমান রুম্মন। সাব্বিরের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার দানুস্কা গুনাথিলাকাও (৪০) দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ইংল্যান্ডের টিম ব্রেসনান অপরাজিত ২৯ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেসরিক উইলিয়ামস ২ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে জাকির হাসানের অপরাজিত ৫১, মুমিনুল হকের ৪২ ও মুশফিকুর রহীমের অপরাজিত ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭.৩ ওভারে ১৫০ রান করে জিতে রাজশাহী। মুমিনুল এবার বিপিএলে অসাধারণ ব্যাটিং করছেন। নির্ধারিত ওভারের জন্য ফিট ব্যাটসম্যান না মুমিনুল। এ অপবাদ দূর করে দিচ্ছেন। শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন। শুরুতেই রনি তালুকদারকে নিয়ে এগিয়ে গেছেন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। সুযোগ বুঝে একটি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন। ৬৫ রান পর্যন্ত রনিকে নিয়ে এগিয়ে যান। এমন সময় রনি (২৪) আউট হয়ে যাওয়ার পর ১ রান যোগ হতেই ইংল্যান্ডের সামিথ প্যাটেলও সাজঘরে ফেরেন। এরপরও মুমিনুল দমে যাননি। নৈপুণ্য দেখাতেই থাকেন। এবার জাকিরকে নিয়ে এগিয়ে চলতে থাকেন মুমিনুল। দুইজন মিলে দলের স্কোরবোর্ডে আরও ৩১ রান যোগ করেন। ৯৭ রান হতেই মুমিনুল আউট হয়ে যান। এরপর আর কোন উইকেটই হারায়নি রাজশাহী। জাকিরের সঙ্গে মুশফিক যোগ হয়ে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়েন। মুমিনুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর জাকির তো আরও বিধ্বংসীরূপে দাঁড় হন। একের পর এক ছক্কা-চার হাঁকাতে থাকেন। এমনই ব্যাটিং করতে থাকেন, একটা সময়ে গিয়ে দলের জিততে ১ রান লাগে, জাকিরের হাফসেঞ্চুরি হতে লাগে ৩ রান। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরিও পূরণ করেন। দলও জিতে যায়। ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে অপরাজিত ৫১ রান করে ম্যাচসেরা হন জাকির। মুশফিক অপরাজিত ২৫ রান করেন। দুইজনের ৫৩ রানের জুটিতে ১৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে রাজশাহী। সিলেট যে এতদূর গেছে শেষে সাব্বির ও ব্রেসনানের ব্যাটিং ঝলকেই। না হলে আরও কম রান স্কোরবোর্ডে যোগ হতো। শুরুতে যে ৭১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। ১৪ ওভারের সময় ৭১ রান করে সিলেট। শেষ ৬ ওভারে গিয়ে সাব্বির ও ব্রেসনানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এতদূর এগিয়ে গেছে সিলেট। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হওয়ার ২ বল বাকি থাকতে সাব্বির আউট হন। ততক্ষণে দলকে ১৪০ রানে নিয়ে যান ২৬ বল খেলে চার ছক্কা ও ১ চার হাঁকিয়ে ৪১ রান করা সাব্বির। আর ব্রেসনান তো শেষ পর্যন্ত ২৯ রান করে অপরাজিতই থাকেন। দুইজন মিলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। রাজশাহী জিতে যায়। সিলেটপর্ব শেষে ড্যারেন স্যামি দলের হয়ে আর খেলতে পারেননি। ইনজুরিতে ছিলেন। শুক্রবার ফিরেন। নেতৃত্বও দেন। তাতে সিলেটে সিলেটের কাছে হারের প্রতিশোধও নিয়ে নেয় রাজশাহী। সিলেটে ৩৩ রানে হেরেছিল রাজশাহী। এবার জিতল বড় ব্যবধানেই। এই জয় পেয়ে ৫ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট যোগ হলো রাজশাহীর। স্কোর ॥ রাজশাহী-সিলেট ম্যাচ সিলেট সিক্সার্স ইনিংস ১৪৬/৬; ২০ ওভার (সাব্বির ৪১, গুনাথিলাকা ৪০, ব্রেসনান ২৯*, থারাঙ্গা ১০; উইলিয়ামস ২/৩২)। রাজশাহী কিংস ইনিংস ১৫০/৩; ১৭.৩ ওভার (জাকির ৫১*, মুমিনুল ৪২, মুশফিক ২৫*, রনি ২৪; রাজু ১/১৭)। ফল ॥ রাজশাহী কিংস ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ জাকির হাসান (রাজশাহী কিংস)।
×