ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জোড়পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর

ইউপি সদস্যের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার!

প্রকাশিত: ০২:০৩, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

ইউপি সদস্যের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার!

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম চৌকিদারের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে লোকমান ফকির (৩২) নামের এক ওয়াকসপ ব্যবসায়ী। মারধর করে তার কাছ থেকে জোড়পূর্বক ইউপি সদস্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ী। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে তালতলীর হেলেঞ্চাবাড়িয়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার হেলেঞ্চাবাড়িয়া গ্রামের ওয়াকসপ ব্যবসায়ী মোঃ লোকমান ফকিরের নিকট থেকে কড়ইবাড়িয়া ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম চৌকিদার ব্যবসার কথা বলে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে দেড় লক্ষ টাকা ধার নেয়। ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্ধারিত তারিখে টাকা চাইতে গেলে এক সপ্তাহ পরে দেওয়ার কথা বলে তাকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে গত দেড় বছর ধরে টাকা ফেরত না দিয়ে আজ-কাল বলে ঘুরিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে লোকমান ফকির টাকা চাইতে ইউপি সদস্য মাইনুলের বাড়ীতে যায়। এ সময় মাইনুল ইসলাম, তার ছোট ভাই জাফর চৌকিদার ও দুই সহযোগী তাকে বেঁধে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলে। সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে বেধরক মারধর করেছে। পরে জোড় করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে দেয়। মারধরে তার হাত, পা, পিঠে গুরুতর জখম হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা জানান লোকমানের হাত, পা ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। আহত লোকমান ফকির বলেন আমার কাছ থেকে ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম চৌকিদার ব্যবসার কথা বলে দেড় লক্ষ টাকা ধার নেয়। ওই টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে আমি টাকা চাইতে ইউপি সদস্যের বাড়ীতে যাই। এ সময় ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম, তার ভাই জাফর চৌকিদার ও তাদের দু’জন সহযোগী আমাকে বেঁধে সাদা কাগজে স্বাক্ষর চায়। আমি সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে বেধরক মারধর করে জোড়পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে দিয়েছে। ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম চৌকিদার মুঠোফোনে মারধর করার কথা স্বীকার করে বলেন আমার কাছে কোন টাকা পাবে না। তবে কেন মারধর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখেছেন এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেয়নি। তালতলী থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×