ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্দিক হত্যা ॥ ৪ খুনি শনাক্ত

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

সিদ্দিক হত্যা ॥ ৪ খুনি শনাক্ত

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক সিদ্দিক হোসাইন মুন্সি হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া চারজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, তাঁরা পেশাদার খুনি, ভাড়ায় এনে এঁদের দিয়ে হত্যা করানো হয়েছে। তাঁদের নাম-ঠিকানাও পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত-সম্পৃক্ত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সিদ্দিক হোসাইন মুন্সির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেসার্স এস মুন্সি ওভারসিজে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) না থাকায় খুনের দৃশ্যের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তবে ওই বাড়ির দোতলার সিঁড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরায় খুনিদের ঢোকা ও বের হওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। গত মঙ্গলবার রাতে বনানীর ৪ নম্বর রোডের বি ব্লকের ১১৩ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত রিক্রুটিং এজেন্সি ‘এমএস মুন্সি ওভারসিজ’ অফিসের মালিক সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে (৫০) গুলি করে হত্যা করে চার জন দুর্বৃত্ত। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের ৩ কর্মকর্তা মির্জা পারভেজ (৩০), মোখলেসুর রহমান (৩৫) ও মোস্তাফিজুর রহমান (৩৯) গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বনানী থানায় নিহত ব্যবসায়ী সিদ্দিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সিদ্দিক হোসেন মুন্সি তার স্ত্রী জোসনা বেগম, দুই মেয়ে সাবরিনা সুলতানা ও সাবিহা সিদ্দিক এবং ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কে একটি বাসায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত সিদ্দিকুরের বুকের বামপাশে একটি গুলি ঢুকে পিঠের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। আর একটি গুলি তার বাম হাতে লাগে। বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, হত্যার ঘটনার নেপথ্যে কারণ এখনও সুস্পষ্ট নয়। আমরা সব ধরনের বিষয় বিবেচনায় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছি। ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বনানীতে অফিসে ঢুকে সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছিল মাত্র আড়াই মিনিটে। এই সময়ের মধ্যে একজনকে হত্যা ও ৩ জনকে গুলি করে পালায় তারা। বনানীর চার নম্বর রোডের ১১৩ নম্বর সেই বাড়িটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রহরী বায়েজিদ বাজির দেয়া তথ্যের সত্যতা মেলে সিসিটিভির ফুটেজে। বনানীর ওই ভবনের বাইরে ৩টা সিসি ক্যামেরা থাকলেও বিকেল ৫টার পর ২টি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়া হয়। চালু থাকে মাত্র ১টি। তদন্তের জন্য ভবনের সেই ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে আসে পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায়, মুখোশধারী ৪ জন স্বাভাবিকভাবে হেঁটে ৭ টা ৪৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে মেইন গেট দিয়ে ঢুকে অফিসে যায়। ৭ টা ৫২ মিনিট ৬ সেকেন্ডে প্রায় আড়াই মিনিট পর তারা স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বের হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বায়েজিদ পুলিশকে জানায়, তার সামনে দিয়েই ৪ জন ভেতরে ঢুকে আড়াই মিনিট পর বেড়িয়ে যায়। বের হওয়ার সময় তাদের মুখোশ ছিল না। ভেতর থেকে একজন দরজায় জোরে জোরে শব্দ করছিল। শব্দ শুনে বাইরে থেকে দরজা খুলে ভেতরে সবাইকে মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখি। তবে গুলির কোনো শব্দ শুনতে পাইনি।
×