ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অপহরণের ২০ ঘণ্টা পর শিশুকে গাজীপুরে উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

অপহরণের ২০ ঘণ্টা পর শিশুকে গাজীপুরে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী সিআইখোলা এলাকা থেকে ফারিয়া আক্তার নামে এক বছরের শিশুকে অপহরণের ২০ ঘণ্টা পর গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ দেলোয়ার হোসেন নামে এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় গাজীপুর জেলার সদর থানার নবপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বুধবার বেলা ৩টায় ফারিয়া আক্তারকে ফারিয়ার বাবা শাহ আলমের পাইনাদীর সিআইখোলার টেইলার্সের দোকান থেকে তার কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহৃতের বাবার মোবাইল ফোনে অপহরণকারী ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা শাহ আলম বুধবার রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে সারারাত অপহরণকারীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় অপহরণকারীর দেয়া একটি বিকাশ নম্বরে ফারিয়ার বাবা ১০ হাজার টাকা পাঠায়। ওই বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে দেলোয়ার টাকা নিতে আসলে ওঁৎ পেতে থাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অপহরণকারী দেলোয়ারকে আটক করে। পরে অপহরণকারীর কথামতো তার বোন ফরিদা আক্তারের ৬ তলার বাসা থেকে পুলিশ শিশু ফারিয়াকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ উদ্ধারকৃত ফারিয়াকে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় শিশু ফারিয়াকে ফিরে পেয়ে তার মা-বাবা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। ফরিদপুরে কিশোরী নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর থেকে জানান, নওগাঁ থেকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল। ওই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে মোঃ চাঁদ সরদার (১৯) নামে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবারপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-৮ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী নওগাঁর একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত ৭ নবেম্বর সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার মোঃ চাঁদ সরদারসহ অজ্ঞাতনামা দুই/তিন জন ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন ওই কিশোরীর বাবা নওগাঁ থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন টাঙ্গাইলে হত্যার দায়ে যুবকের ফাঁসি নিজস্ব সংবাদাদাতা, টাঙ্গাইল, ১৬ নবেম্বর ॥ জুয়েল রানা নামের এক যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল হাসান এই রায় দেন। কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামে জামাল হোসেনের ছেলে জুয়েল। উল্লেখ্য, পূর্বশত্রুতার জের ধরে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেশী শামীমকে বাড়ি থেকে ঢেকে নেয় আসামিরা। তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শামীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ আলীপুর গ্রামের একটি কলার বাগানে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। পুলিশ তিনদিন পর ১৫ ডিসেম্বর ওই কলা বাগান থেকে শামীমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। সদরপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই বিবাহ বন্ধ নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১৬ নবেম্বর ॥ সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূরবী গোলদারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল দুই মাদ্রাসা ছাত্রী। সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের শোনপচা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল দুইজন। ওই দুই ছাত্রী হলেন, আকোটেরচর ইউনিয়নের হালিম চৌধুরীর গ্রামের বাবুল মোল্যার কন্যা রানু আক্তার (১৩) ও একই ইউনিয়নের দানেজ ফকিরের ডাঙ্গী গ্রামের বিল্লাল শেখের কন্যা রাফেজা বেগম। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে খবর পেয়ে উপজেলা ইউএনও দুই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে এবং বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে। পরে দুই পরিবারের অভিভাবক (বাবা) কন্যাদের প্রাপ্তবয়স্কা না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবে না এই মর্মে তাদের নিকট থেকে মুচলেকা নেয়া হয়। মুন্সীগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জাানন, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের পঞ্চসার গ্রামে নবম শ্রেণীর ছাত্রী রূপালী আক্তারের বাল্যবিবাহ ভেঙ্গে দেয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান মেয়ের বাড়িতে গিয়ে আদালত বসিয়ে এই বিয়ে ভেঙ্গে দেন।
×