ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংবাদ সম্মেলনে তিন নেতা

বনপাড়া পৌর নির্বাচনে স্বঘোষিত প্রার্থী হলে নৌকা ডুববে

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

বনপাড়া পৌর নির্বাচনে স্বঘোষিত প্রার্থী হলে নৌকা ডুববে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১৬ নবেম্বর ॥ বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে স্বঘোষিত একক প্রার্থী হলে নৌকার এই আসনটি হারাতে হবে। বর্ধিত সভায় দলের অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীর সম্ভাব্য মনোনয়ন ঘোষণা ও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বর্তমান মেয়রের স্বঘোষিত একক প্রার্থী ঘোষণা সংগঠন পরিপন্থী। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন বনপাড়া পৌরসভার সম্ভাব্য দলীয় মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আগ্রহী মেয়র প্রার্থী বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বড়াইগ্রাম তৃণমূল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার এবং বনপাড়া ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সুজ্জত আলী পাটোয়ারী। তারা বলেন, বুধবার বনপাড়ার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কলেজ মিলনায়তনে বড়াইগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন পরে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে একটি বর্ধিত সভা ডাকা হয়। ওই বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান সরকার। সভায় দলীয় আগ্রহী কোন প্রার্থী বা নেতাকর্মীকে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বনপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র কেএম জাকির হোসেন নিজেকে স্বঘোষিত একক মেয়র প্রার্থী ঘোষণা দেন। এতে সম্ভাব্য তিন প্রার্থীসহ অনেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে সভা থেকে বেরিয়ে এসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শাহজাহান কবিরের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, বনপাড়া পৌর এলাকায় গত ১০ থেকে ১২ বছর আগে যে পরিবেশ ছিল এখন আর মোটেও তা নেই। সেখানে বর্তমান মেয়র জাকির হোসেনের নেতৃত্বেই ‘জাকির বাহিনী’ হত্যাসহ মাদকের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে। এছাড়া জাকির হোসেন নিজেই দুটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তাই সমাজে নিন্দিত এ ধরনের ব্যক্তি স্বৈরচারী আচরণের মাধ্যমে নিজেকেই প্রার্থী ঘোষণা করে মেয়র পদে নির্বাচনের চেষ্টা করলে তা হবে দলের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তাদের দাবি দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে বনপাড়া পৌরসভায় দলের এই পদটি রক্ষার স্বার্থে স্থানীয় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত নিয়েই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবেন বলে আশা করেন। তারা আরও বলেন, জাকির হোসেন যদি সবাইকে উপেক্ষা করে এককভাবে বনপাড়া পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন করেন তবে দলের সাধারণ কর্মীসমর্থকরাও তাকে ভোট দেবেন না, ফলে তার পরাজয় নিশ্চিত। এ ব্যাপারে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলের নেতাকর্মীদের সবার উপস্থিতিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই মনোয়ন ঘোষণা করা হয়েছে।
×