ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গুড়ায় অতিরিক্ত বই উত্তোলন করে বিপাকে শিক্ষক

প্রকাশিত: ০১:০২, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

ভাঙ্গুড়ায় অতিরিক্ত বই উত্তোলন করে বিপাকে শিক্ষক

সংবাদদাতা, ভাঙ্গুড়া, পাবনা ॥ বিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীর চেয়ে দশগুণ বেশি সরকারি বই উত্তোলন করে বিপাকে পড়েছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নের রুপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইদুর রহমান। ভুয়া শিক্ষার্থীর তালিকা জমা দিয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে অতিরিক্ত ৯০০ জন শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক শাখার সরকারি বই উত্তোলন করে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে বিক্রি করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। এ বিষয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ ও শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান তার বিদ্যালয়ে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ২৫০, ৭ম শ্রেণিতে ২৫০, ৮ম শ্রেণিতে ২৫০, ৯ম শ্রেণিতে ২৭০ জন শিক্ষার্থী দেখিয়ে মোট ১ হাজার ২০ সেট বই উত্তোলন করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণি মিলিয়ে প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২০ জনের বেশি নয়। সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ২৯, ৭ম শ্রেণিতে ১৪ এবং ৯ম শ্রেণিতে ১৫ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। চলমান জেএসসি ও আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার জন্য ৮ম ও ১০ম শ্রেণি বন্ধ ছিল। অভিযোগকারীদের মধ্যে বিবি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম জানান, রুপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দশগুণ বই উত্তোলন করে ৫০০ টাকা দরে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে বিক্রি করেন। এ কারণে উপজেলার এমপিও ভুক্ত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ইউএনও আরিফুজজামান বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত বই উত্তোলন ও বিক্রির প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, অনেক শিক্ষার্থী তার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ক্লাস করে। তাই ঐসব কোচিং সেন্টারে তাকে বই দিতে হয়। তবে এজন্য কোন টাকা নেওয়া হয়না বলে জানান তিনি।
×