ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অভিমত ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার

কোচ যেই হোক খেলোয়াড়রা মানিয়ে নিতে সক্ষম

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

কোচ যেই হোক খেলোয়াড়রা মানিয়ে নিতে সক্ষম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আজকালের মধ্যেই দেশে আসবেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করা কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে। তাকে বিসিবি থেকেই আসতে বলা হয়েছে। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর এ সময়ের মধ্যেই ঢাকায় আসার কথা ছিল হাতুরাসিংহের। কিন্তু এর মধ্যে কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করায় এবারের আগমনটি বিশেষ আকর্ষণ কুড়াচ্ছে। তবে দেশে আসলেও যে হাতুরাসিংহে নিজের সিদ্ধান্ত বদলাবেন এমনটি নয়। তবে বিসিবি যে সেই চেষ্টা করে যাবে তা নিশ্চিত। হাতুরাসিংহে শেষ পর্যন্ত না থাকলে বিসিবিকে নতুন কোচ নিয়োগ দিতে হবে। নতুন কোচ আসার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন দেশী কোন কোচকেই হয়তো দায়িত্ব দিতে হবে। কোচ যেই হোন, বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা মানিয়ে নিতে সক্ষম। এমনটিই মনে করছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ‘আর নয় মাদক এই হোক প্রত্যয়’- এই স্লোগানে বুধবার সকালে রাজধানীর বারিধারায় মাদকবিরোধী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রত্যয় মেডিক্যাল ক্লিনিক। যেখানে মাশরাফিকে করা হয়েছিল বিশেষ অতিথি। এই অনুষ্ঠানেই মাশরাফি এমনটি যে মনে করছেন, সেই কথা বলেন। মাশরাফি জানান, ‘আমার কাছে মনে হয় যিনি কোচ হন না কেন খেলোয়াড়রা মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যখন একটা পরিবর্তন আসে তখন ওটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নেয়ায় ভাল। অবশ্যই আমরা হাতুরাসিংহের আন্ডারে খেলে আসছি। সে কিভাবে টিম সাজায়, আমাদের অনেকটা মুখস্থ হয়ে গিয়েছে, এটাও সত্যি কথা। এখন যদি সে না থাকে আর যদি নতুন কেউ আসে তাহলে নতুন কোচ ও আমাদের উচিত হবে সেটা যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নেয়া।’ যখনই বাংলাদেশ দলের কোচ থাকে না, বিসিবি নতুন কোচ নিয়োগ দেয়। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোন আলোচনা না করেই নিয়োগ দেয়। তাতে কোন খারাপ কিছু দেখছেন না মাশরাফি। এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি মনে করি আজ পর্যন্ত কোন কোচ যখন নেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে, আমার অন্তত মনে হয় না লাস্ট ১৬-১৭ বছরের খেলা জীবনে বোর্ড কখনও কোন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোচনা করে এটা নেয়া হয়েছে। তো এখন আমি মনে করছি না আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার দরকার আছে। আমাদের দায়িত্ব মাঠে খেলা এবং যে কোচ আসুক না কেন তার প্ল্যান মতো খেলা। তো এটা মেটার করে না যে ওনারা (বোর্ড) কাকে আনবে। যাকে আনবে তার ইন্টারভিউ নিয়েই, চিন্তা করেই নেয়া হবে। এটা নিয়ে ভাবার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।’ দেশী কোচ হতে পারে? মাশরাফি জানান, ‘দেশী কোচ হবে, এটা আমি ক্লিয়ারভাবে জানি না। যদি হয় তাহলে আমরা ওইভাবেই খেলব। যেটা বললাম যে, আমরা বিসিবির অধীনে আছি। বিসিবি কোচের ব্যাপারে যেটাই সিদ্ধান্ত নিবে আমাদের সেটাই মেনে নিতে হবে। একটা কথা আমি আগেই বলেছিলাম যে হাতুরাসিংহের প্রসঙ্গে এখনও কনফার্ম কিছু হয়নি। তিনি দেশে এসে যদি আলোচনা করে থেকে যান তাহলে তো এটা নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ, প্রশ্ন শেষ। আর যদি না থাকে তাহলে বিসিবি এটা নিয়ে চিন্তা করবে, যে কাকে রাখবে বা কাকে রাখলে ভাল হয়। তবে দেশী কোচের আগে সরোয়ার ইমরান স্যার ছিলেন, আমি তার অধীনে খেলেছি। একটা সময়ে সুজন ভাইও ছিলেন।’ বিসিবি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে কোন ক্রিকেটার দুটির বেশি বিদেশী লীগে খেলতে পারবে না। দেশের ঘরোয়া লীগে খেলাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়ার জন্য এবং ফিট থেকে জাতীয় দলে খেলার উদ্দেশ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন মাশরাফি? নিজেই বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় দলে যারা খেলে বা আপ কামিং যারা আছে, তাদের স্বপ্ন অবশ্যই বাংলাদেশ টিমে খেলা। তো আমার কাছে মনে হয় না বিরাট কোন ইস্যু এটা। আপনি যদি এটাও দেখেন বাংলাদেশের কতজনই খেলোয়াড়ইবা বাহিরে খেলে। হয়তো বা সাকিব খেলে। সাকিব অবশ্যই আইপিএল খেলে আর মুস্তাফিজ আইপিএল খেলে। আর যা খেলা আছে সেখানে সাকিব একাই খেলে যেটা আমরা আগে দেখেছি। তাই আমার কাছে মনে হয় না বড় কোন সমস্যা। এখনও সিদ্ধান্ত কনফার্ম না। যদি সিদ্ধান্ত হয়ও তাহলে আমার কাছে মনে হয় না বড় কোন সমস্যা হওয়ার কথা। কারণ সবাই চাই নিজের দেশের হয়ে খেলতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না।’
×