ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যানজট নিয়ন্ত্রণে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

যানজট নিয়ন্ত্রণে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা ॥ শিক্ষামন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াতে বিআরটিসি বাস দিতে প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিআরটিসি বাস প্রস্তুত আছে, অভিভাবকরা রাজি হলে এখনই গাড়ী দেব। বুধবার রাতে সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরীর ৭১ বিধিতে উত্থাপিত নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। নোটিশে ঢাকা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য স্কুল বাস দেওয়ার আহ্বান করা হয়। নোটিশের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোর যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে আমরা স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের তলব করি। সেখানে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ আমাদের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করি। সেখানে আমরা প্রস্তাব করেছিলাম স্কুলে একক গাড়ী নিয়ে আসায় একদিকে ব্যয়বহুল ও যানজট হয়, অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়। তিনি বলেন, আমাদের সেই প্রস্তাবে প্রথমে দ্বিমত না করলেও পরে কেউ রাজি হননি। আমরা এটাও বলেছিলাম স্কুল কলেজের বাসগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই বৈঠকে অনেক অভিভাবক রাজি না হয়ে বরং বলেছিলেন আমার গাড়ী আছে আমার সন্তান স্কুলে যাবে আমার গাড়ীতে। মনে হয়েছিল এতে তাদের সন্মান যাবে। বিআরটিসি দ্বিতলা বাস দিতে রাজি হয়েছিল। অভিভাবকরা রাজি না হওয়া সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী পুলিশের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, শুধুমাত্র ধানমন্ডী এলাকায় ২১ হাজার প্রাইভেট কার প্রতিদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আনা নেওয়ায় কাজ করে। এতে যানজটতো হয়ই, একটা বড় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় শহরের পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছি নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় ছাত্র-ছাত্রী আনা নেওয়ার কাজ করতে। সবার সহযোগিতা পেলে এটা করা সম্ভব হবে। এজন্য সংসদ সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থা জিরো টলারেন্স- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ॥ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অব্যহত রেখেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক পাচার প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার রাতে সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর ৭১বিধিতে উত্থাপিত নোটিশের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। নোটিশে মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ মাদক উৎপাদন করে না, লাইসেন্সও দেইনি, তারপরেও মাদক আসছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তবে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হলেও চুক্তির পর্যায়ে যেতে পারিনি। মন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে চুক্তির করার পর ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক আসা কমে গেছে। তবে মিয়ানমার থেকে মাদক আসার একটা সমস্যা আছে। এখানে নাফ নদী ও বান্দরবনের গভীর জঙ্গল দিয়ে মাদক আসে। বান্দরবনের ঐ এলাকায় বিজিবি সব সময় থাকতে পারে না। ইয়াবা আসা বন্ধে মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। নাফ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ করেছি। তবে মাদক একটা সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই যদি এক সঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে এই ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাবো। জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবীসহ সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
×