ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমাপনীতে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেবার লোভ ছাত্রীকে ধর্ষণ: শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২০:২০, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

সমাপনীতে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেবার লোভ ছাত্রীকে ধর্ষণ: শিক্ষক গ্রেপ্তার

সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা ॥ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিজিএ-৫ পাইয়ে দেবার লোভ দেখিয়ে পাবনার বেড়া উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১৪ নবেম্বর ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানমের উপস্থিতিতে ও নির্দেশে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর উপজেলার ঘোপসেলন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাবু ওরফে পান্যা বাবু ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের স্টোররুমে ডেকে নেন। ওই সময় প্রবল বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ কম ছিল। সেখানে ডেকে নিয়ে আসন্ন সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাইয়ে দেবার লোভ দেখিয়ে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। তার পর থেকে বেশ কয়েকদিন তিনি ছাত্রীটিকে একই স্থানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে ঘটনাটি শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নজরে এলে তাদের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ করতে থাকেন এবং পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার মোহন্তের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় ইউএনও গিয়ে ওই এলাকায় উপস্থিত হন। সেখানে তিনি ঘটনার শিকার ছাত্রী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। রাতেই ওই ছাত্রীর বাবা থানায় এ ব্যাপারে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আমিনপুর থানার ওসি সুকুমার মোহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে তাকে পাবনা জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।’ বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। ওই ছাত্রীসহ সবার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।’
×