ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে রসগোল্লার লড়াইয়ে জিত পশ্চিমবঙ্গের

প্রকাশিত: ১৯:১৯, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

ভারতে রসগোল্লার লড়াইয়ে জিত পশ্চিমবঙ্গের

অনলাইন ডেস্ক ॥ রসগোল্লা কাদের- সেই লড়াইয়ে নেমেছিল ভারতের দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা; শেষমেষ জয় বাংলাভাষী রাজ্যটিরই হয়েছে। দুই রাজ্যের দুই বছরের লড়াই শেষে জিআই (জিওগ্রাফিকাল ইন্টিকেশন অব গুডস রেজিস্ট্রেশন) কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে ভারতের গণমাধ্যমে মঙ্গলবার খবর এসেছে। ভৌগলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) হচ্ছে একটি প্রতীক বা চিহ্ন, যা পণ্য ও সেবার উৎস, গুণাগুণ ও সুনাম ধারণ ও প্রচার করে। জিআই পণ্যের মালিকানা বিশ্ববাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার নিজস্ব পাঁচ উৎপাদনের ‘জিআই’ সনদ পেতে আবেদন জানিয়েছিল৷ এর মধ্যে সীতাভোগ ও মিহিদানা এবং তুলাইপাঞ্জি ও গোবিন্দভোগ চাল নিয়ে সমস্যায় পড়তে না হলেও গোল বেঁধে যায় রসগোল্লা নিয়ে৷ বাঙালির মুখরোচক খাবার রসগোল্লাকে নিজেদের উদ্ভাবিত পণ্য হিসেবে ২০১৫ সালে দাবি করে বসে উড়িষ্যা রাজ্য সরকার। রাজ্যটি উল্টো রথযাত্রার দিন ‘রসগোল্লা দিবস’ পালনেও নেমে পড়ে। পুরান ঘেঁটে উড়িষ্যা রাজ্য সরকার যুক্তি দেখায়, রথ উৎসবের সময় জগন্নাথ দেব যখন স্ত্রী লক্ষ্মীকে একা ঘরে রেখে চলে গিয়েছিলেন, তখন দেবী ভীষণ চটেছিলেন। স্ত্রী লক্ষ্মীর মান ভাঙাতে তখন জগন্নাথ দেব রসগোল্লায় আপ্যায়িত করেন তাকে। সেই থেকে রসগোল্লার আবির্ভাব। পাল্টা যুক্তিতে নিজেদের দীর্ঘ ব্যবহারের পাশাপাশি উড়িষ্যার যুক্তি খণ্ডন করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বলে, দুধ নষ্ট করে ছানা হয়, তা থেকে হয় রসগোল্লা। যেহেতু দেবতার ভোগে নষ্ট জিনিস দেওয়ার নিয়ম নেই, সেহেতু দেবীকে রসগোল্লায় আপ্যায়নের কথাটি স্রেফ গল্পগাথা, যার কোনো ভিত্তি নেই। দুই পক্ষের যুক্তি বিবেচনা করে চেন্নাইয়ের জিআই কর্তৃপক্ষ রসগোল্লা পশ্চিমবঙ্গের সম্পদ বলেই রায় দিয়েছে, যাতে এখন রাজ্যের মিষ্টির কারিগররা ভীষণ খুশি বলে জানিয়েছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার।
×