ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফরহাদ মজহার ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে

পুলিশের ফাইনাল রিপোর্ট, ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলা মিথ্যা

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

পুলিশের ফাইনাল রিপোর্ট, ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলা মিথ্যা

শংকর কুমার দে ॥ কবি-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার অপহরণের মামলা ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দাখিল করেছে আদালতে। আদালতে দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফরহাদ মজহার দম্পতি মিথ্যার আশ্রয় নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন গোয়েন্দা পুলিশ। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। ফরহাদ মজহার দম্পতির মিথ্যা মামলা দায়ের করার শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে, ফৌজদারি দ-বিধির ২১১ ধারায় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করলে অথবা কোন অপরাধ করেছে বলে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে মামলা দায়েরকারীকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদ- বা অর্থদ- কিংবা উভয় দ- দেয়া যাবে। ফরহাদ মজহার অপহরণের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনায় ফরহাদ মজহার দম্পতি ফেঁসে যেতে পারেন বলে তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশের দাবি। গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানান, ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুল হক মঙ্গলবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকার মহানগর আদালতে। তদন্ত প্রতিবেদনে গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে, মামলায় অপহরণের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভুয়া। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেন, মিথ্যা মামলা দায়েরের শাস্তির বিষয়ে ফৌজদারি দ-বিধির ২১১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করলে অথবা কোন অপরাধ করেছে বলে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে মামলা দায়েরকারীকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদ- বা অর্থদ- কিংবা উভয় দ- দেয়া যাবে। তবে অভিযোগের বিষয় যদি মৃত্যুদ-, যাবজ্জীবন বা সাত বছরের বেশি সাজার যোগ্য হয়, আর সেই অভিযোগ যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাহলে মিথ্যা অভিযোগকারীর সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদ-সহ অর্থদ- হবে। আর ২০৯ ধারায় বলা হয়েছে, অসাধুভাবে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদ-সহ অর্থদ- হতে পারে। ঢাকা মহানগর আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন জানান, ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতারের করা মামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রকৃত ঘটনা আসল আড়াল করা হয়েছে দায়ের করা মামলায়। এ ধরনের পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানান, গোয়েন্দা পুলিশের প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করায় ফরিদা আখতার ও ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আবেদন করা হয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন রেখেছে আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (পশ্চিম) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেছেন, গত বৃহস্পতিবারই আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। অভিযোগটি ছিল মিথ্যা। এ কারণে ফৌজদারি দ-বিধির ২১১ ও ২০৯ ধারায় ব্যবস্থা নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে, যাতে তাদের এবং সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনা হয়। ফরহাদ মজহারের স্ত্রী মামলার বাদী ফরিদা আখতার গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে কিছু জানানো হয়নি। যদি ওই প্রতিবেদনই দিয়ে থাকে, তাহলে তো আমাকে মিথ্যাবাদী বানানো হয়েছে। যদি এটা দিয়ে থাকে তাহলে এটা অনাকাক্সিক্ষত। পুলিশ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করেছে কি না- সে বিষয়ে আমি গ্যারান্টি চাই বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ফরিদা। যেভাবে অপহরণ নাটক সাজানো হয় কবি প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারের নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে গত ৩ জুলাই সকালে। রাজধানীর শ্যামলীর বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। ওইদিনই ফরিদা আখতার তার স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ এনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, যা পরে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। ডানপন্থী এই অধিকারকর্মীর অন্তর্ধান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সব মহলে আলোচনার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা পর গভীর রাতে নাটকীয়ভাবে যশোরে বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে র‌্যাব-পুলিশ। তাকে উদ্ধারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, অপহরণের কোন নজির তারা পাননি। ফরহাদ মজহার নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলার কর্মকর্তারা। তবে ফরহাদ মজহার আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে অপহরণের কথাই বলেন। তিনি সেখানে দাবি করেন, তাকে অপহরণ করে খুলনায় নেয়া হয়েছিল। অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে মুক্তিপণও দাবি করেছিল। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে ছিল বলে এমন দাবিও তখন করেছিলে ফরহাদ মজহার। খুলনায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্টের দোকানে ফরহাদ মজহারে যাওয়ার এবং ওই এলাকায় তার একাকী ঘোরাফেরার একটি ভিডিও পরে গণমাধ্যমে সরবরাহ করে পুলিশ। গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জানা যায়, গত ১০ জুলাই ঢাকার আদালতে অর্চনা রানী নামে এক নারীকে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নিজেকে ফরহাদ মজহারের সেবাদাসী ও ফরহাদ মজহার তার গুরু বলে জবানবন্দীতে দাবি করেন এই নারী। সেদিন ফরহাদ মজহার তার জন্য অর্থ জোগাড় করতেই বেরিয়েছিলেন এবং ১৫ হাজার টাকাও পাঠিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। অর্চনা রানী এ বিষয়ে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছেন। তার দেয়া জবানবন্দীতেই ফরহাদ মজহার মিথ্যা অপহরণের সাজানো নাটকের নেপথ্যের কাহিনী বের হয়ে আসে। অপহরণ মিথ্যা প্রমাণ হয় যেভাবে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে ও অর্চনা রানীর জবানবন্দীতে ফরহাদ মজহার অপহরণের মিথ্যা নাটক সাজানোর নেপথ্যের যেসব কাহিনী বের হয়ে আসার পর জানা যায়, অর্চনা রানী নিজেকে ফরহাদ মজহারের সেবাদাসী দাবি করেন এবং ফরহাদ মজহারকে গুরু বাবা বলে সম্বোধন করতেন তিনি। গুরু বাবা সম্বোধন করে ফরহাদ মজহারের সঙ্গে অসামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। অপহরণের সাজানো নাটকের ঘটনার প্রমাণ হিসেবে উপস্থিত করা হয় সাক্ষ্য, প্রমাণ, আলামত হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে আদালতে দেয়া জবানবন্দী, ফরহাদ মজহারের সঙ্গে তার স্ত্রী ফরিদা আখতার ও সেবাদাসী অর্চনার টেলিফোন কথোপকথনের অডিও, ভিডিও ইত্যাদি। অপহরণের নেপথ্যের সেই নারী অর্চনা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ফরহাদ মজহার অপহরণের নাটক সাজানো বিষয়ে মহানগর হাকিম আদালতে ও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন অর্চনা রানী। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে যেসব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে সেবাদাসী অর্চনা রানী (২৮) নামে ওই নারীর ফোনের পরই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ফরহাদ মজহার। ওই নারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক বজায় রাখছিলেন তিনি। নিখোঁজ হওয়ার আগে এবং নিখোঁজ থাকা সময়টাতে ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন ফরহাদ মজহার। তাকে ‘গুরু বাবা’ সম্বোধন করতেন অর্চনা। অর্চনা রানী নিজেকে সেবাদাসী রূপে তার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ফরহাদ মজহার তার বান্ধবী অর্চনার সঙ্গে ঘটনার আগে-পরে মোবাইল ফোনে যে ধরনের কথা বলেছেন, কথোপকথনের রের্কডও করেছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। উভয়ের মোবাইল থেকে যে ম্যাসেজ আদান-প্রদান করেছেন এ রেকর্ডও রয়েছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের হাতে। এতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ জুলাই ভোরে তিনি মোহাম্মদপুর স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর নিখোঁজ হন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশ সদর দফতরের সমন্বয়ে ফরহাদ মজহারের কথিত অপহরণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এ তদন্তে। তদন্তে শনাক্ত করার হয় এক নারীর মোবাইল ফোন। এ ফোনের সঙ্গে ফরহাদ মজহারের হয়েছে কথা বার্তা। এ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা অর্চনা রানী নামের ওই নারীর খোঁজ পান। ওই নারী অর্চনা হলেন ফরহাদ মজাহারের ‘উবিনীগ’ নামের এনজিওর সাবেক কর্মী। তিনি সহজ সরল এক নারী। বাঁচার তাগিদে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন। ২০০৫ সালে উবিনীগ নামক এনজিওতে চাকরি নেন তিনি। অর্চনা রানী ভাবছেন এই বুঝি তার এক ঠাঁই হলো। কিন্তু কাজের ফাঁকে ফরহাদ মজহারের সঙ্গে তার হয়ে উঠে ঘনিষ্টতা। প্রথম লালন ফকিরের আদর্শে ফরহাদ মজহারকে গুরু মেনে ফকিরি বায়াত নেন। এর থেকে শুরু হয় তাদের ঘনিষ্ঠতা। পরবর্তীতে মন দেয়া-নেয়া এবং দৈহিক সম্পর্ক। মন দেয়া সম্পর্কের জের ধরে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন হলে নিজেকে সেবাদাসী রূপ ফরহাদ মজহারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অর্চনা রানী। ফরহাদ মজহারকে মনপ্রাণে ভালবাসেন ও ভক্তি করেন অর্চনা। প্রায়ই অর্চনা রানীর বাসায় যাতায়াত এবং দৈহিক মেলামেশা করতেন ফরহাদ মজহার। ফরহাদ মজহার তাকে আর্থিক সহযোগিতা করতেন। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে সংসারের অন্যান্য খরচ দিতেন তিনি। অর্চনার তথ্যানুযায়ী প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসে তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, অর্চনা তার গুরু বাবা ফরহাদ মজহারকে মনপ্রাণে ভালবাসেন ও ভক্তি করে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের পরবর্তী ঘটনাবলীতে অর্চনার টাকার জন্যই অপহরণের নাটক সাজানোর ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ফরহাদ মজহার প্রায়ই অর্চনা রানীর বাসায় যাতায়াত এবং দৈহিক মেলামেশা করতেন ফরহাদ মজহার। ফরহাদ। ২০০৭ সালে অর্চনা রানী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ওই সময় তার অবৈধ গর্ভপাত ঘটনানো হয়। ওই গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে ওই সময় অর্চনা রানী শারীরিক ক্ষতিগ্রস্ত হন। সুস্থ হয়ে উঠতে তার অনেক সময় লাগে। ওই সব ঘটনা ফরহাদ মজহারের পরিবারে জানাজানি হলে অর্চনা রানী উবিনীগ থেকে চাকরি হারান। চাকরি হারালেও ফরহাদ মজহারের আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় অর্চনা রানীর কোন সমস্যা হয়নি। সর্বশেষ তিনি আবার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অর্চনা রানী মোবাইল ফোনে ফরহাদ মজহারকে বলেন, ‘আপনার সম্পর্ক এখন আমার পেটে’। ফরহাদ মজহার অর্চনা রানীকে আশস্ত করেন যে, এবার তোমাকে ভাল ডাক্তার দেখানো হবে। আগের মতো তোমার শারীরিক ক্ষতি যাতে না হয়। সে বিষয়টি ফরহাদ মজহার গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। এদিকে গ্রামের বাড়িতে অর্চনা রানীর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাবার চিকিৎসার জন্য অর্চনা রানীর অনেক টাকার দরকার। ফরহাদ মজহারের কাছে সেই পরিমাণ অর্থ নেই। অবশেষে অর্থের নেপথ্যে ফরহাদ মজহারের অপহরণের নাটক। এ নাটক ছিল তার পরিবারের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা আদায় করার ফন্দি। অর্চনা রানীর দেয়া তথ্য, কথপোকথন রেকর্ড ও বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ও জবানবন্দীর ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হন যে ফরহাদ মজহারের অপহরণের ঘটনা ‘সাজানো নাটক।’ ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে ফরহাদ মজহার স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, ৩০ লাখ টাকা তোমার কাছে রেখে দিও এবং তোমার কাছে ওই টাকা কেউ চাইলে বলবে ডেলিভার হয়ে গেছে। ফিরে এসে বাকিটা দেখব। খুলনা গিয়ে তিনি নিউমার্কেটে (খুলনা) গেছেন ও বের হয়েছেন। ওইদিন সন্ধ্যায় খুলনা থেকে অর্চনা রানীকে তার দুইটি নম্বরের প্রথম দফা ১৩ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় দফায় দুই হাজার টাকা পাঠিয়েছেন ফরহাদ মজহার। সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিট ও সন্ধ্যা সাতটা ১৯ মিনিট। বাসের টিকেট নিজে ক্রয় করেছেন। তারও প্রমাণ তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের হাতে। তার কথিত অপহরণের সময় মাইক্রোবাসের কথা বলা হলেও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ওই মাইক্রোবাসের কোন হদিস পাননি।
×