ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছবিয়াল তিন তরুণ

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

ছবিয়াল তিন তরুণ

তথ্য ও প্রযুক্তির এই সময়ে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ছবি। হোক সেটা মুঠোফোনের সেলফি অথবা ডিএসএলআর এ তোলা। আপনার জীবনের সবচাইতে সুন্দর মুহূর্ত বা সময়গুলো ধরে রাখতে বা সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ছবির কোন বিকল্প নেই। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ফটোগ্রাফি শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। তরুণদের মাঝে এই শব্দটি যেমন শখের তেমনি পেশাও বটে। স্মার্ট একটি পেশার নাম হতে পারে ফটোগ্রাফি। বর্তমান সময়ে ফটোগ্রাফি করে অনেকেই বেশ ভাল নাম কুড়িয়েছে এই শিল্পে। বিশেষ করে বিয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসব লেগেই থাকে আমাদের জীবনে। আর এ সব উৎসবের ছবি ধারণ করে আমাদের উপহার দেবার কাজ যারা করে থাকে তার মধ্যে আর্টল্যান্ড অন্যতম। চট্টগ্রাম থেকে সুফিয়ান চৌধুরী, ফয়সাল জিকো, তাহমিদ বারির প্রচেষ্টাতেই আর্টল্যান্ড আজ ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে বাংলাদেশর অন্যতম। আইইউটি এর ৩ ছাত্র একদিন যে সপ্ন দেখেছিলেন সেই সপ্ন পূরণ হয়েছে। আজ তাদের মুখে শুনব আর্টল্যান্ড এর গল্প। ডি প্রজম্ম : আর্টল্যান্ডের যাত্রা কবে? সুফিয়ান : আসলে যাত্রাটা হয় আইউইটি থেকে। আমি আর জিকো যখন পাস করি তাহমিদ ২য় বর্ষে। ৩ জনের পরিচয় সেখানেই। জিকো আর তাহমিদ আইইউটি ফটোগ্রাফি সোসাইটি ক্লাব এর মেম্বার ছিল। জিকো আমাকে বলে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু করার কথা। এরপর ২০১২ সালের ১৪ নবেম্বর প্রথম আমরা একটি ওয়েডিং ইভেন্ট এ কাজ করি। সেই থেকে আমাদের যাত্রা শুরু। ডি প্রজম্ম- প্রথম ইভেন্ট কিভাবে পেলেন? সুফিয়ান : আমরা যখন কাজ শুরু করি তখন বাংলাদেশে এখনকার মতো ওয়েডিং ফটোপ্রাফির ব্যাপারে মানুষের এত আগ্রহ ছিল না। এটি নিয়ে মানুষ খুব বেশি ভাবত না। তবুও প্রথম কাজ হিসেবে ২ দিনে ৮ হাজার টাকা পাই। সেই থেকেই আসলে আস্তে আস্তে পরিচিত মানুষদের কাজ করা শুরু। ডি প্রজম্ম- মানুষের কাছে পৌঁছালেন কিভাবে? তাহমিদ : প্রথমত আমরা চিন্তা করি যে ক্লায়েন্টদের ১০০% সেবা নিশ্চিত করা। আর ওই সময় আমরা এই কাজ এর মাধ্যমেই আমরা আজ এই জাগায়। তবে এর পাশাপাশি আমরা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সবার মাঝে পৌঁছাইতে সক্ষম হই। তাই খুব সহজেই আমরা আমাদের কাজের ফিডব্যাক পেতে থাকি। আর সেই সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা। ডি প্রজম্ম : আইইউটি থেকে পড়ে ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে কেন এলেন? জিকো : আমার সব সময় মনে হয়েছে বিয়ের সময় দুটো পরিবারের মধ্যে যে বন্ধনটা আছে তা তুলে ধরার জন্য ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কোন বিকল্প নেই। এবং এই দুই পরিবাররের মধ্যকার গল্পগুলোই আমাকে আকর্ষণ করে। ডি প্রজম্ম- ঢাকায় শুরুটা কিভাবে হয়েছিল? সুফিয়ান : ঞঐঊ ইঊঝঞ ওঝ ণঊঞ ঞঙ ঈঙগঊ এই কথায় বিশ্বাস করতাম এখনো করি। সার্ভিস, ফ্রেম, কম্পোজিশন সব কিছু নিশ্চিত করবার পর করার পর যখন মনে হলো আমরা আরও বেশি মানুষের ভালবাসা নিতে সক্ষম তখনই ঢাকায় আসি। ডি প্রজম্ম- আপনাদের শাখা কয়টি? জিকো : আপাতত ঢাকা চট্টগ্রাম ও খুলনাতে শাখা আছে। তবে ইচ্ছা আছে বাংলাদেশর সব কয়টি বিভাগীয় শহরে কার্যক্রম শুরু করবার । ডি প্রজম্ম- পেশা হিসেবে ফটোগ্রাফি কেমন? তাহমিদ : অবশ্যই ভাল। নিজের ক্রিয়েটিভেটি দেখাবার জন্য একটা ভাল জায়গা। এটা থেকে বেশ ভাল আয় করা সম্ভব। যেমন বর্তমানে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে ৭০ জন ফটোগ্রাফার কাজ করছেন। ডি প্রজম্ম- নতুনদের জন্য কিছু বলবেন? জিকো : এখন অনেক ছেলেই ভাল কাজ করছে। তাই নতুন যারা আসতে চায় তাদের নিজেদের জায়গা করে নেওয়াটা একটু কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। একটু পরিশ্রম করলেই ভাল কাজ করা সম্ভব। ডিপ্রজম্ম : আর্টল্যান্ড নিয়ে ভবিষ্যত ভবনা কি? সুফিয়ান : এক কথায় দেশ সেরা ব্র্যান্ড হতে চাই। আর যেহেতু তরুণদের আগ্রহ বেশি তাই তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। এবং ভাল কাজের মাধ্যমে সকলের মনে জায়গা করে নিতে চাই।
×