ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বিদেশিরা

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বিদেশিরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের কাছ থেকে যথাযথ আয়কর আদায়ের স্বার্থে বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিডা। রাজস্ব খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যথাযথ বেতন কাঠামোর অভাবেই বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন বিদেশিরা। এমনকি মুদ্রা পাচারও হচ্ছে। বেসরকারি খাতের ব্যাপক প্রসারের ফলে বাংলাদেশে কাজের সুযোগ পাচ্ছে বিদেশি কর্মীরা। ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও প্রচুর বিদেশি কাজ করছে। এরা সংখ্যায় কত-তার প্রকৃত হিসাব না থাকলেও কয়েক লাখের কম নয়। বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হিসাবে, বর্তমানে তাদের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করছে ৩ হাজার ৭২৭ জন বিদেশি। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৪০ জন। আর এনজিও ব্যুরো ও বেপজা যোগ করলে তা সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি নয়। এদের মধ্যে আয়কর দিচ্ছেন ১১ হাজার বিদেশি। তবে, যেসব বিদেশি আয়কর দিচ্ছেন তাদের অধিকাংশই তথ্য গোপন করছেন। এর অন্যতম কারণ বিদ্যমান নূন্যতম বেতন কাঠামো। সার্কভুক্ত, চীন, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ নূন্যতম বেতন ধরা হয়েছে সাড়ে ৬৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের ক্ষেত্রে যা যথাক্রমে ৮৫০ মার্কিন ডলার থেকে দেড় হাজার মার্কিন ডলার। আর উন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার মার্কিন ডলার নূন্যতম বেতন গ্রহণযোগ্য। শিগগিরই বিদেশি শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন কাঠামো পরিবর্তন আনার বিষয়ে সরকার গঠিত কমিটি আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর, বিদেশি কর্মীদের কর ফাঁকি ঠেকাতে দেশি-বিদেশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানে অভিযান শুরু করেছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এ কাজে সহায়তা করবে না. তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি আছে সংস্থাটির।
×