ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মীরগঞ্জ ফেরি সঠিকভাবে চলাচলে জেলা প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

মীরগঞ্জ ফেরি সঠিকভাবে চলাচলে  জেলা প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে অনিয়মিত ফেরি চলাচল নিয়মিত ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন শৃংঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, মীরগঞ্জ ঘাটে ফেরি পারাপারে যানবাহন থেকে কয়েকগুন বেশি টোল আদায়, ইজারাদারের ইচ্ছেমতো ফেরি পরিচালনা এবং বিকাল পাঁচটার পর ইজারাদারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে টোল আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবিষয়ে সভায় উত্থাপিত হওয়ার পর কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ফেরি চলাচলে নির্দিষ্ট সময়সূচী নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। সময়সূচির মধ্যে বাবুগঞ্জ প্রান্ত থেকে সকাল আটটা, বেলা ১১ টা, দুপুর দুইটা ও বিকেল পাঁচটা এবং মুলাদী প্রান্ত থেকে সকাল সাড়ে নয়টা, বেলা ১২টা, দুপুর সাড়ে তিনটা ও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফেরি ছাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি ফেরিঘাটে বাড়তি টোল আদায় রোধ ও যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে পর্যাপ্ত মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান। সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি ফেরিঘাটে টোলের তালিকা টানানো রয়েছে। ভাড়া কেটে রশিদ বুঝে নিতে হবে। তাহলে বাড়তি ভাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়াসহ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহজ হবে। বাড়তি টোল দাবি করলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছেও অভিযোগ করা যাবে। জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনির হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফাসহ বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ। উল্লেখ্য, জনগুরুত্বপূর্ণ এই ফেরি পার হয়েই বরিশাল থেকে হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় বাসিন্দারা সড়কপথে যাতায়াত করে থাকেন।
×