ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে ড্রাগন চাষে সম্ভাবনার হাতছানি

প্রকাশিত: ২২:১০, ১২ নভেম্বর ২০১৭

বরিশালে ড্রাগন চাষে সম্ভাবনার হাতছানি

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ থাইল্যান্ডে উৎপাদিত হয় জনপ্রিয় ফল ড্রাগন ফ্রুট। বিশেষ করে, ডায়াবেটিক ও উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সুষম ফল হিসেবে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাছাড়া এ ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবার। পুষ্টিগুণে সহজে এ ফল চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। এছাড়া রোগ-বালাই কম হওয়ায় এবং বাজারদর ভালো থাকায় ড্রাগন চাষে উৎসাহ বেড়েছে বরিশালের কৃষকদের। জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে উৎপাদিত হচ্ছে ড্রাগন ফল। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরাও এ ফল চাষে দিন দিন উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। সাধারণত এপ্রিল থেকে নবেম্বর মাস পর্যন্ত ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। একটি গাছে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৫০টি পর্যন্ত ফল ধরে। ওজনে একটি ফল আধা কেজির ওপরে হয়। বাড়ির আঙ্গিনা অথবা ছাদে ড্রাগন চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল বাজারভেদে প্রতিকেজি আটশ’ থেকে এক হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে। হটিকালচারের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার হালদার বলেন, ব্রাঞ্চ কেটে মাটিতে লাগালেই এ গাছ বাড়তে থাকে। প্রতিটি ব্রাঞ্চ বা চারা ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়। বছরে দুই এক বার সার ব্যবস্থাপনা ছাড়া তেমন একটা পরিচর্যার প্রয়োজন হয়না। কৃষি গবেষকদের মতে, খাদ্যে সমৃদ্ধ দক্ষিণাঞ্চলে ধান ও ডাল ফসলের পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও ফলের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে। তবে বাড়িতে উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে কৃষক ও খামারিদের মাঝে বিদেশি এ ফলের চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে আরো প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন। তাহলেই বিদেশি ফলের আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।
×