ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গজারিয়ায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় হুমকি

প্রকাশিত: ০১:৩০, ১১ নভেম্বর ২০১৭

গজারিয়ায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের চেষ্টা করেছে সিফাত ও নাদিম নামে দুই লম্পট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এ অঘটনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে থানায় মামলা করেছে ঐ কলেজ ছাত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। আত্মসম্মানের ভয়ে ঐ ছাত্রী বাসায় বন্দী জীবনযাপন করছে। কলেজ ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের করিম খাঁ গ্রামে। সে গজারিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী ও কলেজে ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর দুপুরে ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রসুলপুর খেয়াঘাট এলাকায় আসলে রসুলপুর গ্রামের হানিফ মোল্লার লম্পট ছেলে সিফাত জয়(২২) তাকে অশালীন কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ঐ ছাত্রীর ওড়না ধরে টান দেয় লম্পট সিফাত। তখন সিফাতের বন্ধু নাদিম (২১) ঐ কলেজ ছাত্রীকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেবার কথা বলে তার মোটরসাইকেলে উঠতে বলে, সরল বিশ্বাসে তার মোটর সাইকেলে উঠলে নাদিম তাকে জোর পূর্বক নিজের বাড়ি নিয়ে ঘরে আটকে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ কাজে সহযোগিতার জন্য কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে বন্ধু সিফাতকে মোবাইলে খবর দেয় নাদিম। সিফাত আশার পর নাদিম দরজা খুলতে গেলে কৌশলে অন্য দরজা দিয়ে বের হয়ে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ঐ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এঘটনার পর থেকে আত্মসম্মানের ভয়ে বাসা থেকে বের হতে পারছেনা ঐ ছাত্রী, রীতিমত বাসায় বন্দী জীবনযাপন করছে সে। কলেজ ছাত্রীর মা শিউলী বেগম জানান, এ ঘটনার পরপর বিষয়টি গজারিয়া থানার তৎকালীন ওসি হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে মেয়েটি ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিষয়টি সালিশ বৈঠক করে মিমাংসা করে দেবার আশ্বাস দেয়। দীর্ঘ এক মাসেও বিষয়টির কোন সুরাহা না হওয়ায় হতাশ হয়ে নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েররে পর নানা ভাবে হুকমি আসতে থাকে তাদের উপরে। শুক্রবার মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে গজারিয়া উপজেলা পরিষদে আসলে সিফাত মামলা তুলে নিতে বলে, অন্যথায় তার মেয়েকে ধর্ষণ করার হুকমি দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানান মেয়েটির মা। তবে আসামী এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের আটক করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে, ইমামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ ঘটনার সাথে সুষ্ঠু বিচার দাবী করে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা, নাশকতা কমিটির মাসিক সভায় উপস্থাপন করেছেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গজারিয়া থানার ওসি হারুন অর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর আসামী আটকে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে আজকের হুমকির বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
×