স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে শুক্রবার থেকে ‘এ্যান্ড টু এ্যান্ড কাস্টমস এ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস’ (ওয়ানস্টপ সার্ভিস) চালু করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে এই সার্ভিস চালু করা হয়। এ সার্ভিসটি চালু করার মধ্য দিয়ে মাত্র ৮ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ট্রেনে ভারতের কলকাতা যাওয়া সম্ভব হবে। এজন্য পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের দর্শনা ও ভারতের গেদে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রীদেরকে থামতে হবে না। সরাসরি ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে পারবেন যাত্রীরা। শুক্রবার রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক ও রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে কাস্টমার সার্ভিসটির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।
ওয়ানস্টপ সার্ভিস পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় রেলখাত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রেন ছাড়ার শুরুর প্রান্ত এবং শেষে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। এতে করে যাত্রার সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় কম লাগবে। যাত্রীদের হয়রানিও কমে যাবে। মন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার খুলনা-কলকাতার মধ্যে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। ফলে ট্রেনযাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে ঢাকা-কলকাতা এবং খুলনা-কলকাতা রুটে আসা যাওয়া করতে পারবেন। এই ট্রেনটি প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একদিন খুলনা থেকে ঢাকা চলাচল করবে। পরবর্তীতে যাত্রী চাহিদার উপর ভিত্তি করে ট্রিপ ও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। মন্ত্রী পরে যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং যাত্রীদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং কাস্টমসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, এই ওয়ানস্টপ সার্ভিসটি চালু করার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের যাত্রী হয়রানি কমে আসবে। আগে যেখানে ঢাকা থেকে রওনা দেয়ার পর বাংলাদেশের দর্শনা এবং ভারতের গেদেতে যাত্রীদের নেমে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ করতে হতো। বিশেষ করে বৃদ্ধ, রোগী, নারী ও শিশুদের অনেক কষ্ট করতে হতো। বর্তমানে যাত্রীরা ঢাকায় সমস্ত কাজ শেষে ট্রেনে উঠবেন এবং সরাসরি মাত্র ৮ ঘণ্টায় কলকাতা গিয়ে পৌঁছাবেন। তিনি বলেন, রেলওয়ের পক্ষ থেকে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনকে অতি দ্রুতই আন্তর্জাতিক মানের রেলস্টেশনে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হবে বলে জানান। উল্লেখ্য, মৈত্রী ট্রেন বর্তমানে সপ্তাহে ছয় দিন ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করছে। বর্তমানে ঢাকা টু কলকাতাতে মোট ৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এ্যান্ড টু এ্যান্ড ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস সার্ভিস’ চালুর প্রথম দিনেই ট্রেনের ৪শ’ ৫৬টি আসনের সবই বিক্রি হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: