সৌদি আরবে দুর্নীতিবিরোধী যে অভিযান চলছে সে দেশের সরকার তার আওতা বাড়িয়ে দেশের বাইরেও সম্প্রসারিত করেছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিযন্ত্রণাধীন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে আটককৃত সৌদি নাগরিকদের ব্যাংক হিসাব সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অনেকের ধারণা যে, এরপর সৌদি সরকারের সম্ভাব্য পদক্ষেপ হবে বিদেশী ব্যাংকে আটককৃতদের মজুদ অর্থ সম্পদ জব্দ করা। খবর ইয়াহু নিউজ।
সৌদি প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোকে আটককৃত ১৯ বিশিষ্ট সৌদি নাগরিকের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়েছে। বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্মকর্তা এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গত বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থাকে এই তথ্য জানান। সৌদি আরবে দুর্নীতি দমন অভিযানে গ্রেফতারকৃত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উল্লিখিত ১৯ জন খুবই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এদের মধ্যে রয়েছেন বিলিয়নিয়র ব্যবসায়ী প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল ও সাবেক ন্যাশনাল গার্ড প্রধান প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বাণিজ্যক ব্যাংকগুলো জানিয়েছে, ১৯ সৌদি নাগরিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য কেন প্রয়োজন সে সম্পর্কে সরকার কোন কারণ না দেখালেও তারা মনে করেন যে, ইউএই সরকার সৌদি আরবের চাপে পড়ে এ ধরনের তথ্য দিতে রাজি হয়েছে। সৌদি প্রশাসন তার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সূচনা লগ্ন থেকেই বলে আসছে যে, তারা তদন্তকালে চিহ্নিত কয়েক বিলিয়ন ডলারের অবৈধ সম্পদ উদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করছে।
সাতটি আমিরাত নিয়ে গঠিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, যে সব সৌদি কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭০০ শ’র বেশি স্থানীয় ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জব্দ করেছেন, তারাও কোন ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন।
ইউএইর বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আমিরাত দুবাই এ সম্পদশালী সৌদিরা তাদের ধনসম্পদ জমা রেখেছেন। এসব অর্থ ব্যাংক এ্যাকাউন্টে রাখা ছাড়াও তারা বিলাসবহুল এ্যাপার্টমেন্ট ও সুরম্য ভিলা ক্রয় করার পেছনে ব্যয় করে। এছাড়া, দুবাইয়ের স্টক মার্কেটের উঠানামাও নির্ভর করে সৌদি অর্থের চালানের ওপর।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: