ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামীকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

প্রকাশিত: ০১:৪৬, ১০ নভেম্বর ২০১৭

আগামীকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামীকাল ১১ নবেম্বর দেশের অন্যতম প্রাচীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এই উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে ঢামেকের চৌহদ্দিতে রাস্তাঘাট সংস্কার, কলেজ ভবন ও আশপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন প্রবেশ গেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানার ফেস্টুন ঝুলছে। হাসপাতালের বাগান ও আশপাশে লাইট লাগিয়ে সাজানো হয়েছে। এ নিয়ে চারিদিকে সাজ সাজ রব। ঢামেকের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা সবাই দেরিতে হলেও বড় পরিসরে ডিএমসি ডে পালন করার আগ্রহ প্রকাশ করায় এ বছর দ্বিতীয় দফায় ১১ নবেম্বর ডিএমসি ডে পালিত হবে বলে জানান ঢামেক এ্যালামনি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি জানান, গত কয়েক বছর ধরে এ দিনটিতে রোজা কিংবা ঈদ পড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে নামকাওয়াস্তে খুবই ছোট পরিসরে ডিএমসি ডে পালিত হয়। কয়েকদিন ধরে তারই নেতৃত্বে অনুষ্ঠানকে সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার ব্যস্ত সময় পার করেছেন। দাওয়াত কার্ড তৈরি, বিতরণ, রেজিস্ট্রেশন ও শোভাযাত্রার টিশার্ট তৈরিসহ সর্বাত্মক প্রস্তুতি শেষ। ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন জানান, আগামীকাল (শনিবার) সকাল ৮টায় শোভাযাত্রা, ৯টায় চা চক্র, ১০টায় বৈজ্ঞানিক অধিবেশন, ১০টা ৪০মিনিটে স্মৃতিচারণ, সোয়া ১১টায় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানো, সাড়ে ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছাড়াও জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ শাহলা খাতুন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ঢামেক এ্যালামনি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডাঃ কাজি শহীদুল আলম, ঢামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ খান আবুল কালাম আজাদ ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী শামীম ও ঢামেক এ্যালামনি ট্রাস্ট অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ কণক কান্তি বড়ুয়া ও ঢামেক এ্যালামনি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ জামালউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন। দুপুর দেড়টায় মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকেল ৩টায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও ৪টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমবিবিএস ফাইনালে প্রথম ডাঃ উম্মে সালমাকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। এছাড়া ২০১৬-২০১৭ এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষায় মেধাতালিকায় থাকা প্রথম ১০ শিক্ষার্থীদের বিশেষ কৃতিত্ব সম্মাননা দেয়া হবে। জানা গেছে, ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ চালু হয়। এফআরসিএস ডিগ্রিধারী কুশলী অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ মেজর উইলিয়াম জন ভারজিন ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ। এই চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই সঙ্গে পাঁচটি ব্যাচ ভর্তি করানো হয়। কে ১ থেকে কে ৫। এর ভেতর কে ৫ এ নতুন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। কে ১ থেকে কে ৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আসেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে মাইগ্রেশন করে। তখন মোট ছাত্র ১০২ জন আর ছাত্রী ২ জন। শুরুতে এ্যানাটমি ও ফিজিওলজি ডিপার্টমেন্ট না থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুলে ক্লাস করতে হতো। একমাস পর এ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপক পশুপতি বসু এবং ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক হীরালাল সাহা শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর হাসপাতালের ২২ নং ওয়ার্ডে ক্লাস শুরু হয়। তখন ছিল না কোন লেকচার গ্যালারি বা ডিসেকশন হল। ১৯৫৫ সালে কলেজ ভবন স্থাপনের পর সেই অভাব পূরণ হয়। এই ব্যারাক হোস্টেলই ছিল ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার।
×