ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে গৃহবধূ রাশিদাকে

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ১০ নভেম্বর ২০১৭

লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে গৃহবধূ রাশিদাকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়েছে গৃহবধূ রাশিদাকে। চুলের মুঠি ধরে কিল লাথি ঘুষি এমনকি টানা-হেচড়া করে নির্মম নির্যাতন শেষে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারা। নিজের পালন করা গরু বিক্রি করে স্বামীকে টাকার যোগান দিতে রাজি না হওয়ায় এমন নির্যাতন করা হয়। পাষন্ড স্বামী নাসির মৃধা সৎ বড় ছেলে মাসুম মৃধার স্ত্রী শিরিনা ছোট ছেলে উজ্জল ও তার রীনা বেগম বর্বর নির্যাতন চালায়। এখন রাশিদার জীবন-সংসার ঝড়ের কবলে পড়েছে। কলাপাড়া হাসপাতালের শয্যায় এ হতভাগী চোখের পানি ঝরাচ্ছেন। কী করবেন তাও জানেন না। শুধু বলছেন এর বিচার চান। ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ধানখালী গ্রামে বাড়ি রাশিদার। পিতৃ-মাতৃহারা রাশিদাকে ভাইয়েরা ১৭ বছর আগে বিয়ে দিয়েছিল সতীনের ঘরে। রাশিদার দাবি সতীন জয়নব খুব ভাল ছিলেন। তার অনুরোধেই এ বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন। জয়নবের মরনব্যাধি ছিল। সতীনের জীবদ্দশায় কখনও মারধর করেনি স্বামী নাসির মৃধা। সতিনের মৃত্যুর পরে শুরু হয় রাশিদার জীবনের কালো অধ্যায়। অন্যের বাড়িতে ঘরের পিড়া লেপা-পোছা। কাঁথা সেলাই করে পাওয়া মজুরি দিয়ে কোনমতে স্বামী আর নিজের পেটের যোগান দিতেন। থাকতে দেয় ঘরের বারান্দায়। এরপরও স্বামী কিংবা সন্তান সৎ ছেলে বউদের মন গলাতে পারেনি। এরপর নিজের পালন করা পাঁচটি ছাগল, দুইটি ভেড়া বিক্রি করে স্বামী-সৎ সন্তানদের টাকা দিয়েছেন। এখন বাকি আছে আরও তিনটি গরু আর ব্যবহারের স্বর্ণালঙ্কার। এগরু বিক্রি করতে চাপ দেয় স্বামী-সন্তানরা। বলা হয় ব্যবহারের স্বর্ণালঙ্কার বন্দকী রেখে টাকা দেয়ার। না দেয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিকল্পিতভাবে ছোট ছেলে ও তার স্ত্রী বড় ছেলের বউ রীনা চুলের মুঠি ধরে টানা-হেচড়া করে জাপটে ধরে পাষন্ড স্বামী বাঁশের লাঠি দিয়ে সমস্ত শরীরে পেটায়। এক পর্যায়ে গলা ধাক্কা দিয়ে ঘরের বাইরে বের করে দেয়। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×