ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

প্রকাশিত: ০০:০২, ৯ নভেম্বর ২০১৭

কেশবপুরে ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক তল্লাশীর নামে কেশবপুর থানার পুলিশ ক্রস ফায়ারে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একজনের বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়েছে এমন অভিযোগে থানার তিন দারগসহ ৫ পুলিশ ও এক সোর্সের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার আটন্ডা গ্রামের বজলুর রহমান মোড়লের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদি হয়ে যশোর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি করেছেন। উপজেলার আটন্ডা গ্রামের বজলুর রহমান মোড়লের ৩ ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম ভাড়াই চালিত মোটর সাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া জাহিদুল ইসলাম পুরানো মোটর সাইকেল বেঁচাকেনার ব্যবসায় জড়িত। পুলিশের কথিত সোর্স ফজলুর রহমান প্রায় সময় জাহিদুল ইসলামের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করতো। টাকা দিতে অস্বীকার করায় সোমবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটের সময় ওই সোর্সের কথামত কেশবপুর থানার পুলিশ এস আই মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫ পুলিশ আয়েশা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। পুলিশরা ঘরে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক আছে দাবি করে তল্লাশীর জন্য ঘরের ভেতর ঢুকতে চায়। আয়েশা বেগম বাধা দিলে তার চুল ধরে মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে পুলিশরা। এক পর্যায়ে আয়েশার তিন ছেলের মাথায় এ এস আই আশরাফুল, এ এস আই জাহাঙ্গীর ও কনস্টেবল সালাউদ্দীন পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের জিম্মি করে মোটর সাইকেল বিক্রি করা নগদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জোর করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদেরকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করার হুমকি দিয়ে ওই পুলিশরা চলে আসে। সকালে এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এরপর আয়েশা বেগম বুধবার যশোর আদালতে মামলা (নং- ৩৪০/১৭) দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো, থানার এস আই মুজাহিদুল ইসলাম, এ এস আই আশরাফুল ইসলাম, এ এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন, কনস্টেবল সালাউদ্দীন, ড্রাইভার মোঃ মজনু ও পুলিশের সোর্স উপজেলার বাগদা গ্রামের মৃত করিম মোড়লের ছেলে ফজলুর রহমান। এ ব্যাপারে থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মাললার কথা শুনেছি। তবে জাহিদ একজন মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতা। আগেও কয়েকবার তাকে ধরে থানায় আনা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীতে তার এক আত্মীয় বার বার তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। উল্লেখিত পুলিশরা তার বাড়ি মাদক উদ্ধার ও জাহিদকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল। জাহিদের জ্বর থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করে চলে আসে। তাদের এমন ভয়ভীতি দেখানো বা টাকা নেয়নি পুলিশরা।
×