ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘রোহিঙ্গাদের নিঃশর্তভাবে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান’

প্রকাশিত: ০৩:০১, ৭ নভেম্বর ২০১৭

‘রোহিঙ্গাদের নিঃশর্তভাবে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান’

অনলাইন রিপোর্টার ॥ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিঃশর্ত ফিরিয়ে নিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়শনের (সিপিএ) পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা যে মানবেতর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানানো হয় কমনওয়েলথভুক্ত এমপিদের এ সংগঠন থেকে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। পরে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, এ বিবৃতি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। কোনো দেশই এর বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি। সবাই বিবৃতি দেয়ার পক্ষে ছিলেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘের চাটার্ড, বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণা, আইপিইউ ১৩৭তম সম্মেলনে এজেন্ডা সবগুলোকে সামনে রেখে এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ যে প্রস্তাবনা দিয়েছে তার আলোকে রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হোক। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাসহ অন্যদের ওপর যে নিধনযজ্ঞসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তার তীব্র নিন্দাও জানানো হয় বিবৃতিতে। তারা মিয়ানমার সরকারকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে এ সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানান। অতি অল্প সময়ের মধ্যে নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে বিবৃতিতে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে এবং তাদের টেকসই ও চিরস্থায়ী প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানানো হয় সিপিএ থেকে। তাদের নিরাপত্তা, জীবিকা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে এতে বলা হয়েছে, সীমান্ত খুলে দেয়া, খাদ্য বস্ত্র, আশ্রয়, স্যানিটেশন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছে এর দৃশ্য অন্যন্য। এছাড়া এ সংকট মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য আহ্ববান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে সিপিএ সেক্রেটারি জেনারেলকে অনুরোধ জানানো হয়, তিনি যেন এ অবস্থাটি সিপিএভুক্ত সংসদ, জাতিসংঘের মহাসচিব, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অবহিত করেন। পরবর্তী সিপিএ কনফারেন্সের সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের এ ঘটনা নিয়ে উদ্বেগের প্রকাশ বিষয় থাকলে তা উত্থাপন করতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকে রাখাইন রাজ্যে একটি গোষ্ঠীকে নির্মূল, স্বৈরচারতন্ত্র ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত উল্লেখ করে মানবাধিকারের লঙ্ঘন উল্লেখ করা হয়।
×