সংবাদদাতা, পাথরঘাটা, বরগুনা ॥ বরগুনার পাথরঘাটা বিশখালী নদীর তীর থেকে কুমিরে দু’টি মহিষ শিকার করায় পাথরঘাটা উপকুলের জেলেদের মধ্যে কুমির আতংক বিরাজ করছে। অনেক ক্ষুদ্র ট্রলারের জেলেরা নদী থেকে জাল তুলে কিনারে ফিরে এসছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ২৯ নং দক্ষিন কাকচিড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বিশখালী নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শতাধীক মানুষ বিষয়টি প্রত্যাক্ষ করেছে। মহিষ দু’টির মালিক ওই এলাকার আশ্রাব আলী খান।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও মহিষের রাখাল জামাল শিকদার, মনিরুজ্জামান,স্বাধীন হাওলাদারসহ অনেকে জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা বাড়ি থেকে ৮টি মহিষ নিয়ে নদীর চড়ে কম পানিতে চড়া দিতে (ভাসাতে) আসে। এমন সময় ভাসতে ভাসতে দু’টি সাদা রং এর কুমির এসে ২টি মহিষকে ধরে ফেলে অনেক্ষন ধরে ধস্তা ধস্তি করে। এসময় আমাদের ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন জড়ো হলেও ভয়ে মহিষ দুটিকে উদ্ধার করার কেউ চেষ্টা করেনী। কিছুক্ষন পর মহিষ নিয়ে পানির নিচে চলে যায়। আধা ঘন্টা পর মহিষ দু’টি মরা অবস্থায় ঘটনা স্থল থেকে ২০ গজ দুরে ভেসে ওঠে। একটি মহিষের অর্ধেক অংশ খেয়ে ফেলেছে কুমিরে। বিষয়টি মানুষে প্রত্যাক্ষ করায় উপকুলের জেলেদের মধ্যে এখন কুমির আতংক বিরাজ করছে।
এব্যাপারে সুন্দরবন বন্যপ্রানী সংরক্ষন প্রকল্প ওয়াইল্ডটিমের বন্যপ্রানী বিশেষজ্ঞ বিভাষ তালুকদার জানান, সুন্দরবনের খাল গুলোতে অভয় আশ্রম হিসাবে কমির গুরি বসবাস করত। বর্তমানে কিছু অসাধু মৎস্য শিকারিরা খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায়। সুন্দরবনের খাল থেকে কুমির গুলো নদীতে বেড়িয়ে গেছে। অনেক জায়গায় এ ধরনের ঘটনা শোনা যায়। এব্যাপারে তিনি সকল মানুষকে নদীতে চলাচলের জন্য সতর্ক থাকার আহবান জানান।
