নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট ॥ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আতাউর রহমান ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম ভূমিহীন সেজে সরকারি দুটি খাস পুকুর লিজ নিয়েছে। এখানেই তারা থেমে থাকেনি। সরকারী বিধিমালা ভঙ্গ করে ঐ খাস পুকুরের শ্রেণী পরিবর্তন করে তা চাষের জমি বানিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার কৃষকরা ক্ষুব্ধ হযে ওঠে এবং জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ দেয়। এক পর্যায়ে ঐ কৃষকরা জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভূয়া ভুমিহীনের নামে খাস পুকুর দখল নেওয়া ও শ্রেণী পরিবর্তনের বিষয়টি সংবাদিকদের জানান। এদিকে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভাগ থেকে এই ঘটনাটি তদন্তের জন্য ক্ষেতলাল উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার আটি মৌজায় সরকারি ৮২ শতক ও ৭০ শতকের পৃথক দুটি খাস পুকুর রয়েছে। যার হাল দাগ নম্বর ৮৬০ ও ৮৬৭। ওই মৌজার সাবেক ও বর্তমান নক্সায় পুকুর হিসেবেই এটি লিপিবদ্ধ আছে। কিন্তু ৮২ শতক পুকুরের ৭০ শতাংশ এবং ৭০ শতক পুকুরের ৩০ শতাংশসহ মোট এক একর পরিমাণ অংশকে জমি দেখিয়ে ভূমিহীন হিসেবে কবুলিয়ত দলিল করে নেন দাশড়া মালিগাড়ি গ্রামের আতাউর রহমান ও তার স্ত্রী ফিরোজা বিবি। ১৯৯৬ সালের ১৯ আগষ্ট জেলা প্রশাসনের অনুমোদন সাপেক্ষে ৯৯ বছরের জন্য ওই জমি স্থায়ীভাবে তাদের ১৯৯৭ সালের ২৬ আগষ্ট কবুলিয়ত রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। স্থানীয় কৃষকদের দাবি সিএস,এম আর এবং আর এস রেকর্ডেও পুকুর দুটি সরকারি খাস এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য বলে উল্লেখ থাকলেও ভুল তথ্য পরিবেশন করে পুকুরের শ্রেণী পরিবর্তনের মাধ্যমে গোপনে কাগজপত্র ঠিক রেখে এটি আত্মসাতের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ক্ষেতলাল সহকারী ভূমি কর্মকতাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।