ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তারুণ্যের জয় ॥ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৭ নভেম্বর ২০১৭

তারুণ্যের জয় ॥ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়

তারা তরুণ। আর দশটা তরুণের মতোই স্বপ্ন দেখেন। তবে স্বপ্ন দেখেই থেমে থাকেননি। নিজেদের স্বপ্নকে রূপ দিয়েছেন বাস্তবে। বদলে দিয়েছেন পরিচিত পৃথিবী কিছুটা হলেও। কোটি তরুণের অনুপ্রেরণার উৎস তারা। সাফল্য তাদের নিয়ে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রে। আছে বির্তক। তাদের অর্জণ অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কেবল পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়। আসুন জেনে নেই, নিজেদের ভাগ্য বদলে নেয়া এমন পাঁচ বিশ্বজয়ী তরুণের কথা। লিখেছেন আকিল জামান ইনু এলিজাবেথ হোমস স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির আন্ডার গ্রাজুয়েট ছাত্র থাকাকালীন ১৯ বছর বয়সে প্রতিষ্ঠা করেন রক্ত পরীক্ষাকরণ কোম্পানি ‘থেরানস’। জন্ম ফেব্রুয়ারির ৩, ১৯৮৪ ওয়াশিংটন ডিসিতে। তার পথচলা নাটককেও হার মানায়। ২০১৫তে ফোর্বস তাকে সেলফ মেড তরুণ নারী বিলিওনিয়ার বলে অভিহিত করে। ‘থেরানসের’ মূল্যমান নির্ধারিত হয় ৯ বিলিয়ন ডলার। উঠে আসেন টাইমসের প্রভাবশালী ১০০ তালিকায়। পরের বছর ফোর্বস বলে তার ব্যক্তিগত সম্পদ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে এসেছে শূন্যে। বিষয়টি ছিল হোমস জড়িয়ে পড়েন আইনগত ঝামেলায়। তবে তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি কিছুই। এপ্রিল ২০১৭তে ‘থেরানস’ জানায়, সমস্ত আইনগত ও প্রশাসনিক সমস্যার সমাধান হয়েছে। তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। ইভান স্পিগেল জন্ম ক্যালিফোর্নিয়া, লস এ্যাঞ্জেলসে জুন-৪, ১৯৯০। নিজে হাই স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন শিক্ষকতা করেছেন ওটিস কলেজ অব আর্ট এ্যান্ড ডিজাইনে। অতঃপর স্ট্যানফোর্ডে ভর্তি এবং শিক্ষাজীবন অসমাপ্ত রেখেই বেরিয়ে আসা। স্ট্যানফোর্ডে থাকাকালীন বন্ধু ববি মরফি ও রেশি ব্রাউনের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন স্ন্যাপচ্যাট ইনক। মার্কিন এই প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা সারাবিশ্বে পরিচিত স্ন্যাপচ্যাটের সিইও হিসেবে। ২০১৫তে উঠে আসেন তরুণতম বিলিওনিয়ারের তালিকায়। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৩.৭ বিলিয়ন ডলার। প্রতিষ্ঠার পর পরই স্ন্যাপচ্যাট ক্রয়ের জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ৩ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে হতভম্ব করে দেন ব্যবসায়ী মহলকে। তার ভাষায়, ‘অর্থই জীবনের সব নয়।’ ডেভিড কার্প জন্ম জুলাই ৬। ১৯৮৬ নিউইয়র্কে। শুরুটা ফ্রেড সিবার্টের এনিমেশন কোম্পানি ফ্রেডেটর স্টুডিওতে। এরপর বিক্রি হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ করেছেন আরবান বেবিতে। ২০০৬ তে শুরু করেন নিজের মতো পথচলা। ২০০৭-এর ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠা করেন ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ‘টাম্বলর’। নবেম্বর ০১, ২০১৭ পর্যন্ত হোস্ট সংখ্যা ৩৭৫.৪ মিলিয়ন। মে ২০, ২০১৩ তে ইয়াহু, টাম্বলার কিনে নেয় ১.১ বিলিয়ন ডলারে। কার্প বহাল থাকেন সিইও পদে। ফোবর্সের হিসাব অনুযায়ী কার্পের মোট সম্পদ ২০০ মিলিয়ন ডলার। তিনি মডেল হয়েছেন, ‘ব্রেইন এ্যান্ড বিউটির।’ হিলারি রোল্যান্ড ১৯৯৫ তে প্রতিষ্ঠা করেন নারীদের জন্য উত্তর আমেরিকার প্রথম অনলাইন ম্যাগাজিন। ২০০০ সালে এর সদস্য সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়, কানাডায় জন্মগ্রহণকারী রোল্যান্ড বর্তমানে আফ্রিকায় সম্পূর্ণ নারী পরিচালিত শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বেন র‌্যাটারে বেনজামিন মাইকেল ‘বেন’ র‌্যাটারের জন্ম জুন ১৬, ১৯৮০ সাস্টা বারবারা। ক্যালিফার্নিয়াতে ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের স্নাতক। ৩২ বছর বয়সে ঠাঁই করে নেন টাইমসের ‘প্রভাবশালী ১০০ তালিকায়। সেই সঙ্গে ঠাঁই পান ফোবর্সের উদীয়মান ৪০ ব্যবসায়িক তালিকায়। তার প্রতিষ্ঠিত চেঞ্জ অর্গ বিবেচিত হয় সমাজ বদলের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। ১৯৬টি দেশে তার ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারী ১৭৫ মিলিয়ন। চেঞ্জ অর্গের সিইও বেনের সম্পদের হিসাব প্রকাশিত নয়। তবে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে বিশাল অনুদানের জন্য তার গড়ে উঠেছে মানবিক ভাবমূর্তি।
×