ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেশবপুরে হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি ও মারপিট

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ৬ নভেম্বর ২০১৭

কেশবপুরে হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি ও মারপিট

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরে হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামীরা বাদিদের হুমকিসহ মারপিট করেছে। গভীর রাতে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে নিহতের মা রোকেয়া বেগম ও পিতা আবুল কাশেমকে ঘুম থেকে তুলে বেধড়ক মারপিট করে আহত করেছে। আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে পুলিশকে ম্যানেজ করে মামলা তুলে নিতে মারপিট ও প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মারাত্মক আহত রোকেয়া বেগমকে প্রথমে কেশবপুর ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাদির বাড়িতে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার সাহাপুর গ্রামের আবুল কাশেম মোড়লের সাথে একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ১৫ জুন আবুল কাশেম মোড়লের ছেলে মুকুল হোসেনকে আবুল কালাম আজাদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে। নিহত মুকুল হোসেনের ভাই মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে ওই দিন কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা (নং-১৫) দায়ের করে। কিছুদিন আগে মামলার আসামীরা জমিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। বাদীপক্ষ মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করলে আবুল কালাম আজাদের ছেলে শিমুল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা একদল সন্ত্রাসী ১ নবেম্বর বুধবার রাত ২টার দিকে নিহতের পিতা আবুল কাশেমের বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে (৫০) ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায়, দরজা খুলে দাও আমরা তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে শিমুল, আবুল কালাম, শামিনূর রহমানসহ ৭/৮ জন অজ্ঞাত লোক ধারালো অস্ত্র দিয়ে রোকেয়া বেগমকে কুপিয়ে ও আবুল কালামকে মারপিট করে মারাত্মক জখম করে। সন্ত্রাসীরা রোকেয়া বেগমের গলায় থাকা ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় মামলা তুলে না নিলে পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করার হুমকি দেয় বলে আবুল কালাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। গুরুতর আহত রোকেয়া বেগমকে ওই রাতে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। মারপিট ও হুমকির ব্যাপারে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি এবং মুকুল হত্যা মামলায় শিমুলকে আসামী করা হলেও পুলিশ চার্জসীটে শিমুলের নাম বাদ দিয়েছে বলে বাদি পক্ষ অভিযোগ করেছে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
×