ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীতে অবৈধ করাত কলে শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০১:৩৮, ৫ নভেম্বর ২০১৭

বাঁশখালীতে অবৈধ করাত কলে শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ “অর্থই অনর্থের মূল” এই প্রবাদ বাক্যটি পাঠ্য পুস্তকে লিপিবদ্ধ। যেখানে অর্থের প্রভাবে পিতার কাছে সন্তানের লাশ মূল্যহীন। সেখানেই ঘটে নির্মমতা। এমনই নির্মম মানবিক ঘটনা চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হায়দরী ঘোনা এলাকায় অবৈধ করাত কলে গাছ চাপায় মোঃ আক্কাস নামে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। অর্থের বিনিময়ে নিহত শ্রমিকের পিতা সৈয়দ নুর সমঝোতা করলেও এলাকাবাসীর মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এ ঘটনায় থানা পুলিশের এসআই নাজমুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরুত হাল রিপোর্ট তৈরী করছেন বলে সাংবাদিকদের জানালেও রবিবার বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটে ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। এদিকে স্বামীকে হারিয়ে ৩ মাসের কন্যা শিশুর মা খালেদা বেগমের আহাজারিতে এলাকা পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুঁইছড়ি ইউপি’র হায়দরীঘোনা এলাকায় স্থানীয় চেয়ারম্যান সুলতান উল গণি চৌধুরী লেদু মিয়ার মালিকানাধীন অবৈধ করাত কলে চাকুরী করতেন ওই এলাকার ছৈয়দ নুরের দুই পুত্র। বড় ভাই মোঃ আব্বাস করাত কলের ড্রাইভার হিসেবে নিয়োজিত। শ্রমিক সংকট থাকায় তার ছোট ভাই মোঃ আক্কাছকে কাজে নিয়োজিত করেন। রবিবার সকাল ৯ টার দিকে করাত কলে গাছ ছিড়াই করার সময় আক্কাছকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই আক্কাছ প্রাণ হারালেও দীর্ঘ ৭ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে। তবে এ ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, করাত কলের মালিক স্থানীয় চেয়ারম্যান হওয়ায় দুই প্রভাবশালী ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন ও মোঃ জহির উদ্দিন এ ঘটনাকে দীর্ঘ সময় ধরে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। তাছাড়া নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ওই দুই ইউপি সদস্য চাপ প্রয়োগ করে সমঝোতা করিয়েছেন বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিহত শ্রমিকের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের ময়না তদন্ত করতে রাজি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় অবৈধ করাত কলের মালিক স্থানীয় চেয়ারম্যান সোলতান উল গণি চৌধুরী লেদু মিয়ার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
×