ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁ প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় ভাংচুর

প্রকাশিত: ০১:৩৮, ৫ নভেম্বর ২০১৭

নওগাঁ  প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ রবিবার বিকেল ৩টায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি চ্যানেল আই ও বাসসের নওগাঁ প্রতিনিধি মোঃ কায়েস উদ্দিনকে বেদম মারপিট করে এবং আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে প্রেসক্লাবের টিভি, চেয়ার, টেবিলসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়। এদিকে হামলার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সহকর্মীরা আহত সাংবাদিক কায়েস উদ্দিনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এ ঘটনায় জেলার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এব্যাপারে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারোফ হোসেন জুয়েল জানান, বিকেল ৩টার দিকে সভাপতি কায়েস উদ্দিন ক্লাবে বসে তার দাফতরিক কাজ করছিলেন। এ সময় কথিত সাংবাদিক আজাদ হোসেন মুরাদের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত হামলা করে। তারা কেরোসিন ঢেলে আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় হামলাকারীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে বেদম মারপিট করে পালিয়ে যায়। ঘটনার বিষয়ে আহত সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন জানান, ক’দিন আগে প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ নবায়ন করা হয়। এতে আজাদ হোসেন মুরাদ নামে ওই কথিত সাংবাদিকের কোন পরিচয়পত্র না থাকায় তাকে বাদ দেয়া হয়। এরপর সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মোবাইলফোনে দেখে নেয়ারও হুমকি দেয়। এবং বলে এরপর আপনার পালা। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এদিন দুপুরের পর সাংগঠনিক কাজ করার সময় প্রেস ক্লাবের ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে মারপিট করে অগ্নিসংযোগ করে সে ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনার পর নওগাঁ সদর আসনের এমপি মোঃ আব্দুল মালেক, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন ও জেলা প্রশাসনের এনডিসি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা প্রেস ক্লাব ভবন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় সদর আসনের এমপি আব্দুল মালেক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত যেই হোকনা কেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। মামলা হাতে পেলেই আসামী গ্রেফতারে অভিযানে নামবে পুলিশ। এদিকে জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আমিনুর রহমান মোবাইলফোনে বলেন, আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়। হামলাকারীরা যত শক্তিশালীই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় কায়েস উদ্দিন বাদি হয়ে আজাদ হোসেন মুরাদসহ ৭-৮ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনায় জেলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে রবিবার রাতেই জরুরী সভা আহবান করেন।
×