ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কীর্তনখোলার গাঙ্গের জলে জ্যোসনা বিলাস

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ৫ নভেম্বর ২০১৭

কীর্তনখোলার গাঙ্গের জলে জ্যোসনা বিলাস

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কীর্তনখোলা গাঙের জলে জ্যোসনা বিলাস উপভোগ করলেন বরিশালের প্রকৃতি প্রেমীরা। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কীর্তনখোলা নদীর বুকে জ্যোসনা উপভোগ হয় গান, কবিতা ও বাঁশির সুরের মুর্ছনায়। পূর্নিমার জ্যোসনা রাতে ঋতু ভিত্তিক ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে ছিল বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বরিশালের পাঠচক্র শাখা। প্রায় দুইশত প্রকৃতিপ্রেমী অংশ নেয় জ্যোসনা বিলাস উদ্যাপনে। শনিবার সন্ধ্যায় বিশাল এক ট্রলার অংশগ্রহনকারীদের ভাসিয়ে চলে নগরীর পাশ দিয়ে বহমান কীর্তনখোলার বুকে। হেমন্তের নীল আকাশে নিজেকে উজার করা পূর্ন চাঁদের জ্যোসনা রাতকে প্রানবন্ত করে তোলে ‘আজ মিলন তিথির পূর্নিমা চাঁদ মোছায় অন্ধকার’ ‘জ্যোসনা ভেজা রাতে আমরা মিলেছি এক সাথে’ প্রভৃতি গানে গানে। প্রবীন সাংস্কৃতিজন মুকুল দাসের আলোচনায় রাস পূর্নিমা, কোজাগরি পূর্নিমা, দোল পূর্নিমা, রাখী পূর্নিমা, মাঘী পূর্নিমা, বুদ্ধ পূর্নিমা, গরু পূর্নিমা, জৈষ্ঠী পূর্নিমা, ঝুলন পূর্নিমা, ভাদ্রী পূর্নিমা, কৌমুদী পূর্নিমা ও আঁততায়ী জ্যোসনার ব্যাখ্যা অনুষ্ঠানকে করে তোলে শিক্ষনীয়। আলোচনার মাঝে কবি হেনরী স্বপন, সাংবাদিক স্বপন খন্দকার, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বরিশালের সমন্বয়কারী বাহাউদ্দিন গোলাপ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বিকাশ চক্রবর্তী, শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল উদ্দিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনে করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠান। মোড়ক উন্মোচন করা হয় ঋতুভিত্তিক ভাজ পত্রিকা ‘বাতায়ন’। শিল্পী অদিতি, সুপন, নিপা, পান্থ, সঞ্জয়, পূর্বা, ছোটন, পিযুষ, আসিফ, তানজিলের গাওয়া রবীন্দ্র সংগীত, লালন, ভাটিয়ালী, লোকগীতি, দেহতাত্ত্বিক, আধুনিক গান ও বাঁশির সুরের মুর্ছনা সমন্বয় ঘটায় প্রকৃতি ও পরিবেশকে। বিনোদনের মাত্রায় যোগ হয় কবিতা আবৃত্তি। তানজিলের বাঁশি নিক্কনের বাজনা মনে দোল দেয় সমবেতদের। অনুষ্ঠানে চিড়া ভাজা, খুড়মা, ভাঁপা পিঠা আর খিচুরী আপ্যায়ন স্বাদ আনে বাঙালিয়ানার। পোর্টরোড সাততালা ঘাট থেকে কীর্তনখোলার বুকে ভেসে বেড়ানো জ্যোসনা বিলাসীরা মধ্যরাতে গন্তব্যে ফেরেন সুরধারায়।
×