ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এক যুগেও জ্বলেনি বরিশালের দুটি সেতুর ল্যাম্পপোস্ট বাতি

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ৫ নভেম্বর ২০১৭

এক যুগেও জ্বলেনি বরিশালের দুটি সেতুর ল্যাম্পপোস্ট বাতি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ঢাকা থেকে সড়ক পথে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার সন্ধ্যা নদীর ওপর নির্মিত মেজর এম.এ জলিল (শিকারপুর) ও বাবুগঞ্জ এলাকায় সুগন্ধা নদীর ওপরের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (দোয়ারিকা) সেতুতে দীর্ঘ ১৪ বছরের জ্বলেনি ল্যাম্পপোস্টের বাতি। উদ্বোধণের পর থেকে এ সেতু দুটির রেলিংয়ের সাথে আলো প্রতিফলক কাগজ (রিফ্লেক্ট কালার পেপার) লাগিয়েই দায়সাড়া ভাবে কাজ চালানো হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুয়েত সরকারের আর্থিক সহায়তায় চীনের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী’ সন্ধ্যা নদীর ওপর শিকারপুর সেতু এবং সুগন্ধা নদীর ওপর দোয়ারিকা সেতু দুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নির্মাণকাজের উদ্বোধণ করেছিলেন। প্রায় ১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ৩৯০ মিটার দীর্ঘ দোয়ারিকা সেতু এবং ২৯২ মিটার দীর্ঘ শিকারপুর সেতু। দুটি সেতুর অবস্থানও খুব কাছাকাছি। এর সাথে আরও ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকলেও পুরো এলাকায় কোনো বাতির ব্যবস্থা ছাড়াই ২০০৩ সালের ১২ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তড়িঘড়ি করে সেতু দু’টিতে যান চলাচলের উদ্বোধণ করেন। রাতে অন্ধকারে সেতু পারাপারে চরম নিরাপত্তাহীনতার আশংকা থাকা সত্বেও কর্তৃপক্ষ অর্থ স্বল্পতার অজুহাতে সেতু দু’টিতে আলোর ব্যবস্থা করেনি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার পালের কাছে সেতু দুটির ল্যাম্পপোস্টের বাতি না জ্বলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেতু দুটিতে আলো জ্বালানোর জন্য দ্রুত কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি ইচলাদী টোলপ্লাজায় নতুন করে সিসি ক্যামেরা স্থাপনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
×