ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে নয়া বিধিনিষেধের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৫ নভেম্বর ২০১৭

ভারতে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে নয়া বিধিনিষেধের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ বেনাপোল সীমান্তের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের আসা-যাওয়ার ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন দুই দেশের যাত্রীরাই। এ পথে চলাচলকারী যাত্রীদের বরাত দিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর শরীফ এ তথ্য জানান। বাংলাদেশী ও ভারতীয় যাত্রীদের অভিযোগ, গত বুধবার (১ নবেম্বর) থেকে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ের অজুহাত দেখিয়ে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা পাসপোর্টধারী যাত্রীদেরও ফেরত পাঠাচ্ছেন। অথচ এ বিষয়ে ভারতে কোন সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। মাল্টিপল ভিসার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতীয় নাগরিক নূরুল আমিন বাংলাদেশে এসে জানান, ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ বলেছে, সপ্তাহে মাত্র একবার বাংলাদেশে যাওয়া যাবে। এর বেশি বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাবে না। আর যাদের মাল্টিপল ট্যুরিস্ট ভিসা আছে তারা মাসে দুবার বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। ঢাকার যাত্রী আমিনুর রহমান জানান, তার পাসপোর্ট নম্বর ‘বিপি ০০২৮২৯০’। তিনি গত শুক্রবার সকালে বিজনেস ভিসায় পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ ভারতে যান। সেখানকার পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের পাসপোর্টে ‘রিফিউজ’ সিল মেরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। সব কাজকর্ম শেষ করে ভারতে যাওয়ার পর সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বলেন, বিজনেস ভিসায় সপ্তাহে মাত্র দুবার আসা যাবে। এর বেশি আসা যাবে না। আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি চলতি সপ্তাহে ব্যবসায়িক কাজে ইতোমধ্যে দুবারের বেশি ভারতে গিয়েছি। তাই আমি এখন ভারতে প্রবেশ করতে পারব না। হঠাৎ করেই এমন শর্তের কারণে আমি ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’ বেনাপোল গ্রীনলাইন পরিবহনের গাইড রফিকুল ইসলাম তুহিন জানান, শুক্রবার সকালে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারত গেলে একই কারণ দেখিয়ে তাকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। যশোরের শার্শার কুলপালা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (বিপি-০২৭৬১৮৩) গত ২ অক্টোবর বিকেলে ভারতে গেলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তার পাসপোর্টে এন্ট্রি রিফিউজ সিল মেরে বলে দেয় এক মাস পরে আসতে। সে অনুযায়ী শহিদুল ২ নবেম্বর বৃহস্পতিবার ভারতে গেলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তার পাসপোর্টে আবারও রিফিউজ সিল মেরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। কী কারণে তাকে ফেরত যেতে বলা হচ্ছে শহিদুল জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন, ‘কোন প্রশ্ন শুনতে চাই না।’ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ওমর শরীফ বলেন, ‘এ রকম লিখিত অভিযোগ কেউ করেননি। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এটা করছে শুনেছি। তবে কী জন্য করছে তা বলতে পারব না। এ বিষয়ে দুই দেশের হাইকমিশনার পর্যায়ে সমাধান করা উচিত। তবুও আমি আমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানাব।’
×