অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা লাভবান হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
শনিবার অস্ট্রেলিয়া সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বৈঠক করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী সিনেটর মাথিয়াস কোরম্যানের সাথে। ওই সময় তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উজ্ঝল সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিরামিক পণ্য ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ সকল পণ্য আমদানি বৃদ্ধি করতে পাওে অস্ট্রেলিয়া। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করেছে। সে জন্য বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য লাভজনক স্থান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের যে কোন একটিতে অস্ট্রেলিয়া বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার সবধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ পলিসি খুবই ভালো। এখানে শতভাগ বিনিয়োগ ও প্রয়োজনে বিনিয়োগকৃত অর্থ লাভসহ যেকোন সময় ফিরিয়ে নিতে পারবে। সরকার আইন প্রনয়ন করে নিবিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, উভয় দেশের মধ্যে কার্গো উড়জাহাজ চলু করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় ৬৫৮ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৬৮৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বৃদ্ধি হলে উভয় দেশের বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পাবে। অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিও বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে। এর আগে সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মালকম টার্নবুল সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানীর প্রেসিডেন্ট ফ্রান্ক ওয়াটার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফরিদা ইয়াসমিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
