ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াত-বিএনপি রোহিঙ্গাদের জঙ্গীবাদে উস্কে দিচ্ছে

প্রকাশিত: ০২:৩৩, ২ নভেম্বর ২০১৭

জামায়াত-বিএনপি রোহিঙ্গাদের জঙ্গীবাদে উস্কে দিচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার/রাবি সংবাদদাতা, রাজশাহী ॥ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্ব, দারিদ্র্য ও ক্ষোভকে পুঁজি করে জামায়াত-বিএনপি তাদেরকে জঙ্গীবাদে উস্কানি দিচ্ছে। জামায়াতের বিভিন্ন এনজিও রোহিঙ্গাদের মধ্যে জিহাদী কাগজ বিলি করছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত রোহিঙ্গাদের বার্মায় ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর সাধারণ গ্রন্থাগারে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা গণহত্যাকারীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহরিয়ার কবির বলেন, রোহিঙ্গারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা নিজ দেশে ফিরতে পারছে না। মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু শরণার্থী হিসেবে তাদেরকে জায়গা দেয়ার সামর্থ্যও আমাদের নেই। এরকম পরিস্থিতিতে জামায়াতের প্ররোচনায় রোহিঙ্গা তরুণদের একটা অংশের মধ্যে সন্ত্রাস প্রবণতা বাড়ছে। তারা আইএস ও আল-কায়দার টার্গেটে পরণিত হয়েছে। তাদের যদি আইএস ও আল-কায়দার মতো জঙ্গী সংগঠন দলে ভেড়াতে পারে তাহলে শুধু বাংলাদেশেই সন্ত্রাস বাড়বে না, সারাবিশ্বে জঙ্গী তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। ৯/১১-এর মতো হাজার হাজার হামলা হবে। বিষয়টা চীন ও রাশিয়াসহ বিশ্ববাসীকে বোঝাতে হবে। শাহরিয়ার কবির বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে জামায়াতের মৌলবাদীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্টের পাঁয়তারা করছে। জামায়াত ও তাদের সহযোগী সাম্প্রদায়িক সহযোগীরা এদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তৈরি করতে চাইছে। কক্সবাজার এলাকায় বৌদ্ধরা চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে। কোনভাবেই সন্ত্রাসের কাছে ধর্মকে মাথানত করতে দেয়া যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গায় সবাইকে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও মনবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বার্মা সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড় করানো হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এজন্য আমরা নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাক্ষ্য সংগ্রহ করছি। কারণ আইসিসির রায় বাস্তবায়ন জাতিসংঘের জন্যও অবশ্য পালনীয় হবে। তখন বার্মা সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি করা সহজ হবে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজ করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক সুজিত কুমার সরকার, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান আলী বরজাহান প্রমুখ।
×