সংবাদদাতা, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর ॥ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যুবদলের প্রতি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় পুলিশ সাংবাদিক ও যুবদলের ৪০ জন আহত হয়েছে ও ৭ জন যুবদল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠান শুরু হয়। হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে প্রথমে একটি মিছিল বাজার প্রদক্ষিণ করে আসলে বিশ্বরোডের মুখে পুলিশ তাদের শ্লোগান বন্ধ করতে বলে ব্যানার কেড়ে নেয়। তৎক্ষনাত নেতাকর্মীরা দিক বেদিক ছুটাছুটি করে।
সিনিয়র নেত্রীবৃন্দ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে বিশ্বরোড এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। তৎক্ষনাত উভয় পক্ষ থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু হয়। বিকাল ৪টায় উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তার হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। এ সময় কয়েকজন বক্তব্য রাখলে সভার সমাপ্তি ঘোষণা পর পরেই পুলিশ যুবদলের নেতাকর্মীদের একজায়গায় জড় করার চেষ্টা করলে নেতাকর্মীরা দিক বেদিক ছুটা শুরু করে। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদেরকে রামগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ দিকে ধাওয়া করে।
ঐ সময় নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছড়া শুরু করলে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ছুড়লে যুবদল নেতাকর্মীরা রান্ধুনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালযের সামনে জড় হয়ে হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কে টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ করে। বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পুলিশ ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
এ সময় পুলিশ পুনরায় ধাওয়া করে কয়েক জনকে আটক করে। এ খবর হাজীগঞ্জ বাজারে ছড়িয়ে পরলে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার ও মধ্যবাজারে যুবদল ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। যুবদলের সভাপতি আক্তার হোসেন দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন বলেন, পুলিশ ও ছাত্রলীগ আমাদের শান্তপ্রিয় অনুষ্ঠান ষড়যন্ত্র করে পল্ড করেছেন। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদুল ইসলাম বলেন সংঘর্ষ চলাকালে আমাদের তিন পুলিশ আহত হয়েছে। এ সময় গ্রেফতার হয়েছে ৭ জন।