অনলাইন ডেস্ক ॥ নরসিংদীর শিবপুরে মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে এক কিশোরীকে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুমূর্ষু অবস্থায় নরসিংদী থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর শনিবার ভোর ৫টার দিকে আজিজা খাতুন নামে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীর মৃত্যু হয় বরে বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান।
তিনি বলেন, “মেয়েটির শরীরের ৯৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তবে কীভাবে পুড়েছে তা জানতে হলে পরীক্ষা করতে হবে।”
শিবপুর উপজেলার খনকুট গ্রামের পোল্ট্রি শ্রমিক আবদুস সাত্তারের মেয়ে আজিজা স্থানীয় স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। তার চাচি বিউটি বেগমই ‘লোক লাগিয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে’ বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে মেয়েটির বাবা।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, কিছুদিন আগে বিউটি বেগমের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে তিনি আজিজাকে সন্দেহ করেন এবং ‘পুড়িয়ে মারার হুমকি’ দেন বলে সাত্তারের অভিযোগ।
“তিনি বলছেন, কাল রাতে তিনি আর তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তখন বিউটির লোকজন আজিজাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গায়ে আগুন দেয়।”
আবদুস সাত্তার ঢাকা মেডিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, মৃত্যুর আগে আজিজা তাকে বলেছে, তার চাচির ভাইয়েরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বাচ্চু মিয়া বলেন, তারা ইতোমধ্যে শিবপুর থানায় যোগাযোগ করেছেন। আজিজার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতারের মর্গে রাখা হয়েছে।
আবদুস সাত্তার সকালে ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, কয়েকদিন আগে আজিজার চাচি বিউটি বেগমের একটি মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনায় আজিজাকে সন্দেহ করেন তার চাচি। তার জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় আজিজাকে হাত বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বিউটি বেগম।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: