ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চন্দনাইশে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

চন্দনাইশে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, চট্টগ্রাম॥ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, চন্দনাইশ উপজেলা অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনুসহ অনন্ত ২০জন। আহতদের প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবুর রহমান ও জুনুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় চন্দনাইশ উপজেলা সদরে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরেই উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জুনুর অনুসারীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কের বাগিচা হাট, গাছবাড়িয়া কলেজ গেইট এলাকা ও খান হাট এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা পর পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ব্যারিকেড তুলে নিতে সক্ষম হন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এক সমাবেশের আয়োজন করেন। এতে উপজেলা আ’লীগ কমিটির সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনুর কর্মীরা মিছিলে মিছিলে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে অনুষ্ঠান পরিচালনা নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা ও এক পর্যায়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এসময় সাধারণ সম্পাদক জুনুসহ অনন্ত ২০জন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুনুর অনুসারীরা মহা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি চলাচল করে দেয়। যার কারণে দূর পাল্লার অসংখ্য গাড়ির যাত্রীরা আটকে পড়ে ভোগান্তির শিকার হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন গুলি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শিবলু জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশে যারা হামলা ও রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে তারা বিএনপি ও এলডিপির ক্যাডার। সমাবেশে অতর্কিতভাবে হামলার ঘটনায় শনিবার প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন। চন্দনাইশ থানার উপ-পরিদর্শক আলমাস হোসেন বলেন, উপজেলা সদরে এলডিপি ও আওয়ামী লীগের পৃথক দু’টি অনুষ্ঠান ছিল। এলডিপির অনুষ্ঠানে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠান পরিচালনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও একটি পক্ষ মহা সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছে। পুলিশ দীর্ঘ এক দেড় ঘন্টা পর ব্যারিকেড তুলে নিয়েছে। রাতে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান।
×