নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরে আয়শা খাতুন নামে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়ায় সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাগুরখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে যশোর মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ছাত্রীর মা লালবানু বেগম জানান, তার মেয়ে আয়শা খাতুন মনিরামপুর উপজেলার হেলাঞ্চী দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করত। সে হেলাঞ্চী গ্রামের মৃত হাসান আলীর মেয়ে। চলতি বছরের মার্চ মাসে তার দাদা শামছুর রহমান কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মাগুরখালী গ্রামের মিজানুর রহমান সরদারের ভ্যান চালক ছেলে আলমগীর হোসেনের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেন।
কিন্তু আয়শা এ বিয়েতে রাজী ছিল না। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার চাচা ইসমাইল হোসেন ও মহিউদ্দিন তাকে ওই ছেলের সাথে বিয়ে করতে বাধ্য করে। বিয়ের পর প্রতিবারই তাকে জোর করে শ্বশুর বাড়ি পাঠানো হতো। বুধবার সন্ধ্যার পর বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মাগুরখালী থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।