ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে তিন লাখ টাকার জন্য স্বামীকে হত্যা করেছে স্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:১০, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

বরিশালে তিন লাখ টাকার জন্য স্বামীকে হত্যা করেছে স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া এলাকায় নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মোক্তার বেপারী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মোক্তার বেপারী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ও কাউনিয়া থানাধীন সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের বোর্ডস্কুল এলাকার অফেজ উদ্দিন বেপারীর পুত্র। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মোক্তার বেপারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাঃ ইকতিয়ার আহসান জানান, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোক্তার বেপারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ভোর ছয়টার দিকে নিজ বসত ঘরে মোক্তার বেপারীর ওপর তার স্ত্রী ও দুই সন্তান হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের বোন শিল্পী বেগম জানান, তার ভাইয়ের সাথে বানারীপাড়া উপজেলার চাখারের মজিদ হাওলাদারের কন্যা মুনিরা খাতুনের প্রায় ২০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের ১৬ বছরের কন্যা মিলি আক্তার দ্বাদশ ও ১৩ বছরের আফিজুল অস্টম শ্রেনীতে পড়াশুনা করছে। শিল্পী বেগম আরও জানান, স্থানীয়দের কাছে তার ভাইকে কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনতে পান। নিহতের নিকট আত্মীয় কমলা বেগম জানান, অতিসম্প্রতি মোক্তার বেপারী প্রায় তিন লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা তার স্ত্রী জোর করে নিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় চরবাড়ীয়ার ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুল আলম তুহিন জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে গুরুতর আহত মোক্তারকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও জানান, মোক্তার ও তার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। কাউনিয়া থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, পারিবারিক কলহের জেরধরে মোক্তারের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মিলে তাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকেই আটক করেছে। ওসি আরও জানান, ছেলে ও মেয়েকে বাঁচানোর জন্য তাদের মা মুনিরা একাই কুপিয়ে তার স্বামী মোক্তার বেপারীকে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
×