স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মোবাইল চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে হাত ও পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ও আওয়ামীলীগ নেতা। নির্যাতনের ভিডিও চিত্র সর্বত্র ভাইরাল হওয়ার পর সর্বমহলে নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার চরসফিপুর এলাকার।
বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বসাক) এর উপ-পরিচালক মোঃ সোহেল সরদারের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত তাজুল সরদারের পুত্র স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর জব্বার সরদার, প্রভাবশালী মোবারক কাজী, মহসিন সরদার, সবুজ সরদারসহ তাদের সহযোগীরা মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে গত ২১ সেপ্টেম্বর চরসফিপুর গ্রামের শাহানাজ বেগমের পুত্র শাওনকে (১৫) হাত ও পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। পরবর্তীতে নির্যাতিত শাওনের পরিবারের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
সূত্রমতে, নির্যাতনের চিত্র মোবাইলে ধারণ করার পর গত ২৫ অক্টোবর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। অপরদিকে ঘটনার পর থেকে নির্যাতিত শাওনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রভাবশালীদের হাতে বিভিন্ন কারণে এলাকার নিরিহ জনসাধারণের নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন, স্থানীয় ইব্রাহীম হোসেন, শাহেআলম, আনিচ আকন, রুমান মোল্লা, মাসুম রাজা, জামাল বেপারী, সজল গাজীসহ অনেকেই।
এব্যাপারে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুলিশ পরির্দশক উজ্জল কুমার দে বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পুলিশ সুপার বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুলাদী থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মুলাদী থানার ওসি মোঃ মতিউর রহমান জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে তাৎক্ষনিক থানার এসআই মিজানুর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
