ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই ফার্স্ট লেডি দ্বন্দ্ব

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই ফার্স্ট লেডি দ্বন্দ্ব

ক্ষেতের ফসল ঘরে তোলার মার্কিন উৎসব হ্যালোইনে রাত-বিরাতে ডাইনিদের নানারকম ভৌতিক হাতছানির ব্যাপার-স্যাপার ঘটে দেশজুড়ে। কিন্তু সে উৎসব আসার আগেই কিনা সাতসকালে হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইঙ্গে বসবাসরত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান স্ত্রীকে এক দূরের নারী অশুভ হাতছানি দিয়ে যাবে কে ভেবেছিল! এ মহিলাটি আবার তার নামের শেষে ট্রাম্প উপাধিটি এখনও জুড়ে রেখেছেন। সেটা হয়ত দোষের কিছু নয়। কারণ আমেরিকান বহু রমণী সেটা করে থাকেন, এমনকি যখন পরবর্তী স্বামীর ঘরনি হন তখনও। কিন্তু মেলানিয়ার হৃদয়ে খোঁচা মেরে কা- একটা ইভানা করলেন বটে এবিসির গুড মর্নিং আমেরিকার এমি রোবাচের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে। শুরুতেই বেশ রসে বসে মজা করে বললেন তিনিই হলেন মেলানিয়ার স্বামীর জীবনের প্রথমা। যদিও সেটা সত্যি বটে; কিন্তু তিনি কি শুধু তাই বললেন? ৪৭ বছরের মেলানিয়ার গা জ্বালিয়ে রসিকতাচ্ছলে এ প্রাক্তন ট্রাম্প কর্ত্রী আরও বললেন, তিনিই তো প্রকৃতপক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ফার্স্ট লেডি। দীর্ঘদিন আগে বিচ্ছেদ নেয়া ভূতপূর্ব ৬৬ নাকি ৬৮ বছরের এ প্রথম স্ত্রী উপরন্তু আরও ঘোষণা করলেন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার জন্য সরাসরি হটলাইন টেলিফোন নাম্বারটি তার কাছে রয়েছে। তার সঙ্গে নাকি ৭১ বছর বয়স্ক মেলানিয়ার স্বামীর ১৪ দিনে অন্তত একবার কথা হয়। ক্ষমতায় বসার পর প্রাক্তন স্বামী নাকি তাকে চেকোস্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রদূত করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু ইভানা রাজি হননি। এ সাক্ষাৎকারে তিনি রসিকতা করে আরও যোগ করেছিলেন ‘আমি আমার প্রাক্তনের সঙ্গে বেশি কথা বলতে চাই না। কারণ সেখানে রয়েছে মেলানিয়া আর সে ঈর্ষাকাতর হোক বা এরকম কিছু অনুভব করুক সেটা অবাঞ্ছনীয়।’ প্রেসিডেন্ট স্বামীর ইভানা নামের প্রাক্তন প্রথম স্ত্রীটিকে মনে মনে ডাইনি চরিত্রের মহিলা বলে কিনা কে জানে ! তবে আজ হয়ত সেটা না মনে করে পারেনি মেলানিয়া। একথা সত্যি স্বামীর অনাদর বা অমর্যাদায় তিনি ও তার ১০ বছরের সন্তান ব্যারন নেই। কিন্তু দুনিয়াসুদ্ধ মানুষ জানে স্বামীর থেকে হৃদয় সাম্রাজ্য ব্যবসা সাম্রাজ্য সবই দখল করে বসে আছে ইভানারই পুত্র-কন্যারা। পতির মধ্যমজন মারলা মেপলতো একদা গেয়ে বেড়িয়েছিল স্বামী নাকি তার গর্ভে সন্তান আসাটাই পছন্দ করেননি! তবে ব্যারন তার বাবার অনেক স্নেহের পাত্র সন্দেহ নেই। কিন্তু ইভানার নাতি-নাতনিগুলো তো কম নয়, লাই পেয়ে একেবারে মাথায় উঠে বসে আছে! অথচ তাদের দাদিই মেলানিয়ার স্বামীকে পথের ফকির বানিয়েছিল একদিন। ইভানাই তার বইতে লিখেছে, মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এই সন্তানেরাই বাপের সঙ্গে এক বছর কথা পর্যন্ত বলেনি। সেদিন তাই ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার সকালটা শুভ হলো না। স্বামীর প্রাক্তনের রসিকতার জবাবে রসিকতা করতে পারলেন না মিসেস ট্রাম্প। বেশ কঠিন স্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরুণী ভার্যা এনবিসিকে বললেনÑ ‘এ হোয়াইট হাউসকে আমি স্বামী ও সন্তান ব্যারনের জন্য একটি গৃহ হিসেবে গড়ে তুলেছি। নিজে ওয়াশিংটনে বসবাস করতে পছন্দ করি , কাজ করি শিশুদের জন্য, বই বিক্রি করার জন্য আমার এসব কাজ নয়।’ তার মুখপাত্র আরও কঠিনভাবে জানালেন ‘একজন প্রাক্তনের মুখে এ ধরনের কথাবার্তা দুর্ভাগ্যজনক। ব্যাপারটিকে হৈচৈ করে মনোযোগ আকর্ষণের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।’ কিন্তু একদিন যে ইভানা ছিলেন ট্রাম্প জীবনের সর্বেসর্বা মানসী তিনিও তো চুপ করে থাকার পাত্রী নন! তাকে অনেকেই কানে কানে বলল বই লেখার মুরোদ ফার্স্ট লেডির আছে নাকি? এমনিতেই তো কিছু নারী তাকে প্রায়শই উস্কে দিয়ে থাকে- আসলে তুমিত হতে পারতে এক লাভলী ফার্স্ট লেডি! মেলানিয়ার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এক পার্টিতে প্রেসিডেন্টের জীবনের ফার্স্ট লেডি- বর্তমান এক্স কাউকে নাকি গোপনে বলেছেন ‘সে তো কথা বলতেই জানে না, পারে না কোন স্পিচ দিতে, যেতে চায় না কোন ইভেন্টে, এমনকি ইনভেলভ পর্যন্ত হতে চায় না। ইভানার এই উক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হতে দেরি হয়নি। মেলানিয়া বই বিক্রি কথাটা বলে ব্যঙ্গ করেছেন; কিন্তু আসলেই ইভানার নিজের লেখা চতুর্থ বই ‘রাইজিং ট্রাম্প’-এর প্রকাশনা হচ্ছিল এর পরের দিন এবং এমন উপলক্ষে ইভানার এ টিভি পর্দায় আসা। ডোনাল্ড ও ইভানা দম্পতির সংসারে জন্ম নেয়া সর্বত্র প্রশংসিত তিনজন আমেরিকান তারকা সন্তান ইভানকা ট্রাম্প, ডোনাল্ড জুনিয়র ট্রাম্প ও এরিক ট্রাম্পকে তিনি কীভাবে লালন-পালন করেছেন সে বিষয়ে ইভানা ট্রাম্প এই বই লিখেছেন। এই নতুন বইটিতে এর জন্য ‘সম্পূর্ণ ক্রেডিট’ গ্রহণ করেছেন তাদের জননী। ইতোপূর্বে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর লিখেছিলেন আরও তিনটি বই ‘ফর লাভ এলোন’ (১৯৯২), ‘ফ্রি টু লাভ’ (১৯৯৩), ‘দ্য বেস্ট টু কাম’ (১৯৯৫) এবং ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রকাশনা ঘটল এই চতুর্থ বইয়ের। এক সময়ের ব্যবসা মোগল ট্রাম্প সাহেবের বর্তমান স্ত্রীর জন্ম প্রাক্তন সমাজতান্ত্রিক দেশ স্লোভেনিয়ায় এবং মজার কথা জীবনের প্রথম স্ত্রীও ছিলেন একই বলয়ের চেকোস্লোভাকিয়ার মেয়ে। এক চেক ও অস্ট্রিয়ান যুগলের ঘরে তার জন্ম। ট্রাম্প অতীত ও বর্তমান দুজন স্ত্রী প্রাক্তন সমাজতান্ত্রিক দেশ থেকে বেছে নিয়েছেন কি বৈশিষ্ট্যের জন্য তিনিই জানেন। বর্তমান সময়েও সেই বলয়ের অধীশ্বর রাশিয়া হয়ে আছে ট্রাম্পের গলার কাঁটা। যাই হোক এ নিউইয়র্ক নগরে বিদেশিনী স্কি অলিম্পিক কন্যা ইভানা ও নিউইয়র্ক ধনকুবেরের অবিবাহিত পুত্র ডোনাল্ডের দেখা হয়েছিল। দুজনের প্রথম দেখা সম্পর্কে বহু পূর্বে এক সাক্ষাতকারে ইভানা বলেছিলেন আমরা একটি দল সেদিন কানাডা থেকে নিউইয়র্কে এসে রাতে একটি রেস্টুরেন্টে আহার করতে গেছি, তবে কোন টেবিল পাচ্ছিলাম না। এমন বিব্রতকর অবস্থায় এক সুদর্শন সোনালি চুলের যুবক কোত্থেকে এসে সেটা পেতে সাহায্য করল আমাদের এবং নিজেও অচিন শহরে আগত নবাগত মানুষের সঙ্গে সেই টেবিলে বসল একত্রে। শুধু তাই নয়, খাবার-দাবারের সমুদয় বিল আমাদের পরিশোধ করতে না দিয়ে যুবকটি দিল নিজের পকেট থেকে। ইতোপূর্বে দেখেছি এসব ব্যাপারে পুরুষের দুরভিসন্ধি থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেল তরুণটি এরকম কোন অভিসন্ধির ধার না ধেরে নিশ্চুপ বেরিয়ে গেল বাইরে। আরও অবাক করা ব্যাপার দেখা গেল দরজার বাইরে সে সুবিশাল বিলাসবহুল এক লিমোজিন নিয়ে অপেক্ষা করছে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য। এরপর দূর দেশ থেকে ভাগ্যান্বেষণে শহরে আসা অজানা-অচেনা যুবতীটির সঙ্গে নিউইয়র্ক রিয়্যাল স্টেট ধনকুবের পুত্রের রূপকথার মতো প্রেমের এপিসোড। এ নগরে ১৯৭৭ সালে এই যুগলের বিয়েটি যেমন ঘটেছিল অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে, তেমনি পরবর্তীতে স্বামীর সমাজে ইভানা হয়ে ওঠেন নিউইয়র্ক সোসাইটির অভিজাত ফিগার। দাম্পত্য জীবন শুরু করেছিলেন কানেক্টিকাটের ৪৫ রুমের ট্রাম্পের নিজস্ব গ্রিনউইচ ম্যানশনে। নিউইয়র্ক নগরে স্বামীর বিশাল বিশাল প্রজেক্টে স্বামী-স্ত্রী দুজন কাজ শুরু করেছিলেন বিয়ের পর থেকেই। নিউইয়র্ক সিটির গ্রান্ড হায়াত হোটেল পুনর্নির্মাণ, আটলান্টিক সিটির তাজমহল ক্যাসিনো রিসোর্ট, ফিফ্থ এভেন্যুয়ে ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণ কাজে স্বামীকে সহযোগিতা করতে লাগলেন ইভানা। একে একে জন্ম নিল তিনটি শিশু। কিন্তু স্বামী গরবিনী ইভানার ১৩ বছরের সংসারে অত সুখ যেন সইল না। ডোনাল্ডের প্রথম বিয়ে নিউইয়র্ক নগরে যেমন ছিল সাড়া জাগানো রূপকথার গল্প, তেমনি হাসি-ঠাট্টার বিষয় হয়ে উঠেছিল এই দম্পতির বিচ্ছেদটিও। ডোনাল্ডের স্ত্রী হিসেবে ইভানা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করলেন। তিনি কোম্পানির ইন্টেরিয়র ডিজাইন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প টাওয়ারের সিগনেচার ডিজাইনটি করেছিলেন। তার স্বামী ইভানাকে নিযুক্ত করলেন ট্রাম্প ক্যাসল হোটেল ও ক্যাসিনোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে। কিন্তু ১৯৯০ সালে চরম কেলেঙ্কারির মধ্য দিয়ে ট্রাম্প ঘরণী ইভানার দায়ের করা হাইলি পাবলিক ডিভোর্সটি ছিল মিডিয়া ও জনমানুষের মুখে।এর কারণ হিসেবে সে সময় স্বামী ডোনাল্ড বলেছিলেন ‘বিবাহিত জীবনে আমার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ইভানাকে স্ত্রীর ভূমিকা থেকে সরিয়ে আটলান্টিক সিটিতে আমার একটি ক্যাসিনো এবং পরবর্তীতে প্লাজা হোটেলের কাজের সঙ্গে মেলবন্ধন রচনা করা।’ কিন্তু ঘটনার অন্তরালে ছিল মারলা মেপল নামে এক টিভি অভিনেত্রী ও মডেলের সঙ্গে ক্রোড়পতির গোপন ডেটিং করছিলেন রক্ষিতা হিসেবে। ১৯৯০ সালের নিউইয়ার্স ইভে মারলা এগিয়ে এসেছিল ডোনাল্ডের স্ত্রী ইভানার দিকে ‘আই এম মারলা, আই লাভ ইওর হাসব্যান্ড ডু ইউ?’ ইভানার জবাব ছিল- গেট লস্ট, আই লাভ মাই হাসব্যান্ড।’ এর ওপর সেই মারলা একটি ট্যাবলয়েট পত্রিকায় ছেড়ে দিল শয্যাসঙ্গী ট্রাম্পের কাছ থেকে নাকি পেয়েছেন ‘দ্য বেস্ট সেক্স আই হ্যাড এভার!’ পরদিনই খবরের কাগজের মাধ্যমে মানুষের ধিক্কার আর হাস্য-কৌতুকের খোরাক হলো এ সংবাদ। এ অপমান উন্মাদিনীর মতো ইভানাকে নিয়ে গেল কোর্টে। ট্রাম্পের সেই হাইলি পাবলিক ডিভোর্স মামলাটি চলতে লাগল চরম কেলেঙ্কারির মধ্য দিয়ে, যা দিনের পর দিন ছিল মিডিয়ার পাতায় ও জনমানুষের মুখে মুখে। ইভানা পরবর্তীতে সময়টি সম্পর্কে বলেছেন ‘টিভির নব ঘোরাতেই শোনা যেত আমাদের কথা।’ অবশেষে বিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি আপোসরফায় বলা হলো ডিভোর্সের পর ইভানা পাবেন ১৪ মিলিয়ন ডলার ছাড়াও যেখানে ট্রাম্প তার সর্বপ্রথম দাম্পত্য জীবন শুরু করেছিলেন কানেক্টিকাটের সেই গ্রিনউইচ ম্যানশন, ট্রাম্প প্লাজায় একটি এপার্টমেন্ট এবং বছরে একবার ফ্লোরিডার ১১৮ রুমের মার আ লাগো ম্যানশনে সন্তানদের নিয়ে এক মাস কাটাতে পারবেন। ট্রাম্পের তিন সন্তান লালন-পালনের জন্য পাবেন বছরে ৬৫০.০০০ ডলার। কিন্তু আক্রোশ মিটল না তার। ইভানার আইনজীবী ট্রাম্পের তখনকার ৫ বিলিয়ন সম্পত্তির অর্ধেকের মালিক ইভানা বলে দাবি জানালেন। কিন্তু ট্রাম্প তখন এত সম্পদের মালিক ছিলেন না। এটা তাকে ব্যাংক ক্রাপসির পর্যায়ে নিয়ে গেল প্রায় এবং ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে ব্যবসার ব্যয় নির্বাহ করতে হলো। ডিভোর্স সেটেল হলো ১৯৯১ সালে এবং ফাইনালইজড হলো ১৯৯২ সালে। ১৯৭৭ থেকে ৯২ তাদের বিবাহকাল ১৫ বছর। অবশ্য জাত ব্যবসায়ী ডোনাল্ড এক সময় আবার উঠে দাঁড়ালেন। যাই হোক এরপর কন্ট্রাক্ট ম্যারেজে রক্ষিতা মারলা মেপলকে বিবাহ করলেন ডোনাল্ড। কিন্তু ইভানার সমতুল্য মর্যাদা দূরে থাকে তার খুদকুঁড়ো জুটল না এ আমেরিকান স্ত্রীর। স্বামী না চাইলেও তার একটি কন্যা জন্মালো, নাম টিফানি। এরপর তাদের সংসারের পরিণতি বড় সুখের হলো না। বিবাহ পূর্ব ও পরবর্তী ১০ বছরের যাবতীয় সম্পর্ক তখন মিলিয়ে গেল ধুলায়। ফ্লোরিডার একটি সি বিচে তার বডিগার্ডের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় মার্লাকে পাওয়া যাওয়ার পর ডোনাল্ড ডিভোর্স করলেন এ দ্বিতীয় স্ত্রীকে। বিবাহের চুক্তি মোতাবেক মাত্র দুই মিলিয়ন ও তার মেয়েকে নিয়ে বিদায় নিলেন তিনি। পরবর্তীতে হলিউড একসেসের কাছে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ‘উই ডিডনট ব্রিঙ আউট দ্য বেস্ট ইন ইচ আদার।’ কন্যাটির সঙ্গে কোনকালেই পিতার যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু ক’বছর আগে ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কার সঙ্গে দেখা হলে সেই এই বোনটিকে লেখাপড়া করার ব্যাপারে উৎসাহিত করে নানাবিধ সুপরামর্শ দিয়েছিল। প্রেসিডেনশিয়াল অভিষেকে অন্য ভাই-বোনের সঙ্গে টিফানিকে এই প্রথম সবাই দেখেছে। তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই অভিষেকের দিনটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি কাহিনী বলি সবশেষে। সেদিন সেই জাঁকজমক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সন্তানদের মাতা ইভানা ট্রাম্প বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। হুইল চেয়ারে করে মাকেও তিনি এনেছিলেন সেখানে। কিন্তু কেবল বসেছেন আয়েশ করে মেলানিয়ার জায়গায় কল্পনার চোখে দেখছেন নিজেকে এমন অবস্থায় বিষমভাবে চমকে উঠলেন- ও মাই গড মারলা মেপল নামে সেই ডাকিনীটা আসছে ! সেই পুরনো আগুন জ্বলল মাথায়- এই ডাইনিটি পায়ে পাড়া দিয়ে তার সংসারে না এলে আজ জগতের এই রাজকীয় অনুষ্ঠানে তারেই তো রাজেশ্বরী হওয়ার কথা ছিল। একটা ইয়ে কোথাকার, ওর মুখ দেখাটাও পাপ! সঙ্গে সঙ্গে সেলফোনে কিনে ফেললেন ওয়াশিংটন থেকে ফিরে যাওয়ার দুটি টিকেট। কিন্তু তিনি তো আর কম পলিটিশিয়ান নন, টিভির পর্দায় মার্লার সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে হাসিমুখে জবাব দিলেন বর্তমানে আমাদের দুজনের সম্পর্ক বন্ধুর মতোই। লেখক : নিউইয়র্ক প্রবাসী [email protected]
×