ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভর্তি কার্যক্রম স্থাগিত রাখার আহ্বান প্রগতিশীল ছাত্রজোটের

প্রকাশিত: ০২:৪৫, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

ভর্তি কার্যক্রম স্থাগিত রাখার আহ্বান প্রগতিশীল ছাত্রজোটের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি। পরীক্ষার আগের রাতেই প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন না করে তড়িঘড়ি করে ফল প্রকাশ করার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন। লিখিত রুমন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে তদন্ত করা হচ্ছে, অথচ কাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, আদৌ করা হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে পুরো জাতি আজ অন্ধকারে আছে। ফল প্রকাশের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তদন্ত ছাড়া তা না করতে বলেছিলাম। অথচ এই ইউনিটে পরীক্ষার্থী অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে এই একটি বিষয়ই যথেষ্ট। জাতিকে মর্যাদাহীন ও দুর্নীতিগ্রস্থ হিসেবে পরিণত করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার স্পৃহাকে ধ্বংস করে প্রশ্ন খোঁজার হীন মানসিকতা তৈরি করা হচ্ছে। লিটন নন্দী বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্যে গড়মিল আছে। একবার বলছে এর সাথে কেউ জড়িত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না আবার বলছে প্রশ্নফাঁস হয়নি। তড়িঘড়ি করে ফল প্রকাশ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগকে আরও বেশি শক্তিশালী করে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্কসবাদী) সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, সাধারণ সম্পাদক স্নেহার্দী চক্রবর্তী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল কবীর প্রমুখ। গত শুক্রবার ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগের রাতেই ইমেইল, ফেসবুকসহ অন্য ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিভিন্ন সংগঠন। তুমুল আন্দোলনের পরও গত রবিবার ফল প্রকাশ করে প্রশাসন।
×