নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শরিফা খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে রিন্টু তার স্ত্রী শরিফা খাতুনকে ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে শরিফা খাতুনকে চিকিৎসা কেন্দ্রে না নিয়ে নিজ ঘরের ভেতর আটকিয়ে রাখে পাষন্ড স্বামী রিন্টু।
এক পর্যায়ে শরিফা খাতুন বদ্ধ ঘরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লে রিন্টু ও তার পরিবারের লোকজন নিহত শরিফা খাতুনকে ঘরের ডাফের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে।
উল্লেখ্য নিহত গৃহবধু শরিফা খাতুনকে দিয়ে তার শ্বশুর মাগু মন্ডল মেয়ের বিয়ের জন্য এনজিও ব্র্যাক থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋন উত্তোলন করায়। পরবর্তীতে ঋনের টাকা শ্বশুর বাড়ির লোকজন দিতে অস্বীকৃতি জানালে এনিয়ে গৃহবধু শরিফা খাতুন ও তার স্বামী রিন্টুর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে সোমবার সকালে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিন্টু তার স্ত্রী শরিফা খাতুনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়। নিহত শরিফা খাতুনের বাবা একই ইউনিয়নের কান্দির পাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ শরিফা খাতুনকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের ডাফের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, স্বামী স্ত্রী দু’জনের মধ্যে সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। সোমবার সকালেও রিন্টু তার স্ত্রী শরিফা খাতুনকে চড় ধাপ্পড় মেরেছে। তবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত নয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দৌলতপুর থানার এসআই গৌতম জানান, নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: