ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১৮ দিনেও অপহৃত মিন্টুকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

১৮ দিনেও অপহৃত মিন্টুকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরে অপহৃত যুবক মিন্টু খানকে ১৭ দিনেও পুলিশ উদ্ধার করতে পরেনি। কি কারনে মিন্টুকে অপহরন করা হয়েছে বা কারা তাকে অপহরন করেছে পুলিশ কিছুই উদ্ধারও করতে ব্যর্থ হয়েছে। কেশবপুরের নতুন মুলগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে ৪ অক্টোম্বর রাতে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে মিন্টুকে অপহরন করা হয়। মিন্টুর খোঁজ না পেয়ে পরিবার পরিজনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। অপহৃত মিন্টুর বৃদ্ধা মা রাশিদা বেগমের দাবী করে জানান, থানার পুলিশ একটু তৎপর হলেই তার ছেলে এতদিনে উদ্ধার হতো। অপহরনের সময় বাঁধা দিলে অপহরনকারীরা মিন্টুর (২৮) মা রাশিদা বেগমের মুখ চেপে ধরে তাকে মারপিট করে। পরেরদিন মিন্টুর মা বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর- ১৮৭ তাং- ০৫/১০/১৭ ইং। কিন্তু থানা পুলিশ গত ১৮ দিনেও তাকে উদ্ধার বা অপহরণকারীদের আটক করতে পারেনি। অপহৃত মিন্টুর বৃদ্ধা মা রাশিদা বেগম জানান, চার বছর পূর্বে কেশবপুরের ভান্ডারখোলা গ্রামের সিদ্দিক মোড়লের কন্যা পপি বেগমের (২৩) সাথে তার ছেলে মিন্টুর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। তাদের সংসারে মরিয়াম (৩) নামের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মিন্টুর শশুর মোবাইলের মাধ্যমে এবং মিন্টুর বাড়িতে এসে মিন্টুকে অপহরণসহ হত্যার হুমকি দিয়েছিলো। ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে মিন্টুর শশুর সিদ্দিক মোড়লসহ ৩ জন তাদের বাড়ি এসে ডিবি পরিচয় দিয়ে মিন্টুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে তিনি মিন্টুর শশুর সিদ্দিক মোড়লকে চিনতে পেরেছেন বলে মা রাশিদা বেগম জানান। তিনি বলেন, সিদ্দিক মোড়লকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিন্টুকে উদ্ধার করা সম্ভব। মিন্টুর ছোট ভাই আবু মুছা বলেন, আমার ভাই মিন্টু মটরসাইকেল (ভাড়ায়) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। আমার নিরীহ ভাইকে তার শশুর সিদ্দিক মোড়ল ও তার লোকজন অপহরণ করেছে। তাকে আটক করলে অপহরণের ঘটনা বেরিয়ে আসবে। মিন্টু অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোজাহিদ জানান, মিন্টু আপহরণের ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। তদন্তকালে জানা যায়, মিন্টুর নামে সাতক্ষীরা আদালতে একটি শিশু অপরণের মামলা রয়েছে। গত ১১ অক্টোম্বর ধার্য তারিখে ওই মামলার হাজিরার দিন ছিলো এবং মিন্টু আদালতে হাজিরাও দিয়েছেন বলে তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, অপহরনের নাটক সাজিয়ে মিন্টুর শশুর বাড়ির লোক জনকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। আসলে মিন্টু অপহরন হয়নি। এখন বাদির বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×