ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তুমুল আন্দোলনের পরও ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

তুমুল আন্দোলনের পরও ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর তুমুল আন্দোলনের মুখেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। রবিবার বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন। এদিকে বিতর্কিত এই পরীক্ষার ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা। এ রীক্ষা বাতিলের দাবিতে রবিবার বিশ^বিদ্যালয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা না নিলে বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ার হুমকিও দেন তারা। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে কোন তদন্ত না করে, ফেসবুকে যারা প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে কথা বলছেন (উপাচার্যের ভাষায় অপপ্রচার চালাচ্ছে) তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন বিতর্কিত প্রশ্ন ফাঁসের পরীক্ষা বাতিল না করে তড়িঘড়ি করে ফল প্রকাশ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফল প্রকাশের সময় উপাচার্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে আমরা প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি জানতে পারি। একটি অশুভ চক্র বিশ্ববিদ্যালয়কে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সাংবাদিকদের কাছে কোন হার্ড এভিডেন্স থাকলে পরীক্ষা বাতিল করতাম। কিন্তু কোন এভিডেন্স না থাকায় পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্নই আসে না।’ ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ ॥ এবার ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু মোট ৭১ হাজার ৫৪৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ হাজার ২৬৪ জন। শতকরা হিসেবে পাসের হার ১৪.৩৫ শতাংশ। ঈরীক্ষার বিস্তারিত ফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধফসরংংরড়হ.বরং.ফঁ.ধপ.নফ ওয়েবসাইটে জানা যাবে। তাছাড়া, যে কোন অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকে উট এঐঅ <ৎড়ষষ হড়> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে ংবহফ করে ফিরতি ঝগঝ-এ ফল জানা যাবে। ঘ-ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৬১০টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে- ১১৪৭, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০ এবং মানবিক বিভাগে ৫৩। সাংবাদিককে আটকে পুলিশে দিতে চাইলেন সহকারী প্রক্টর ॥ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলায় বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সোহেল রানা ও লুৎফর রহমানের রোষানলে পড়েন এক বিশ^বিদ্যালয় প্রতিবেদক। সহকারী প্রক্টররা তাকে উপাচার্য কার্যালয়ে আটকে রাখেন এবং পুলিশ ডাকেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রতিবেদক জানান, আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে উপাচার্য চলে যাওয়ার পরেও আমি সেখানে ছিলাম। এক পর্যায়ে আমি দেখি সোহেল রানা স্যার আমার দিকে আসছেন এবং মোবাইলের ক্যামেরায় আমার ছবি তুলছেন। আমি এর কারণ জানতে চাইলে তারা আমাকে বহিরাগত সাংবাদিক বলেন এবং আমার পরিচয়পত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, আমি শুধু তার নয়, পুরো ঘটনারই ভিডিও করছিলাম। তার কাছে আইডি কার্ড চাওয়া তো বেশি কিছু না। পরবর্তীতে বিষয়টি উপাচার্যের সামনে উপস্থাপন করা হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
×