ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল টি২০) পঞ্চম আসর

সিলেটপর্বে খেলতে পারবেন না তামিম, মুস্তাফিজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

সিলেটপর্বে খেলতে পারবেন না তামিম, মুস্তাফিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল টি২০) শুরু হবে ৪ নবেম্বর। শুরুতেই সিলেটে আটটি ম্যাচ হবে। এই সিলেটপর্বে খেলতে পারবেন না বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল ও ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আইকন ক্রিকেটার তামিম ও রাজশাহী কিংসের মুস্তাফিজ ইনজুরির জন্য সিলেটপর্বে খেলতে পারবেন না। ইনজুরি সারতে তাদের অপেক্ষা করতে হবে। সিলেটপর্ব শেষেই তারা আবার খেলায় ফিরতে পারবেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে তামিম ও মুস্তাফিজ ইনজুরিতে পড়েন। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুইজনেরই দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে। দুইজনই ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফিরছেন। সফর পুরো শেষ না করেই তাদের ফিরতে হচ্ছে। মাংসপেশিতে টান লেগেছে তামিমের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে মাংসপেশিতে টান লেগে মাঠ ছাড়েন। এরপর ইনজুরি থেকে মুক্ত হয়ে প্রথম টেস্টেই খেলেন। আবার ইনজুরিতে পড়েন। ব্যথা বেড়ে যায়। ব্যথা সারার পর দ্বিতীয় টেস্ট ও প্রথম ওয়ানডে না খেললেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আবার ব্যথা বেড়ে যায়। এমনই অবস্থা হয় সফরই শেষ হয়ে যায়। তৃতীয় ওয়ানডে ও দুটি টি২০ না খেলেই দেশে ফিরতে হচ্ছে তামিমকে। দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয় ১৮ অক্টোবর। সেই থেকে চার সপ্তাহ তামিমকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। যদি পুরো চার সপ্তাহ তামিম মাঠের বাইরে থাকেন ব্যাট হাতে না নিতে পারেন তাহলে নবেম্বরের ১৪ তারিখ পর্যন্ত তামিমের খেলার কথা নয়। যদি তাই ঘটে তাহলে কুমিল্লার হয়ে তিন থেকে চারটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না তামিম। সিলেটপর্ব ৮ নবেম্বর পর্যন্ত চলবে। সিলেটপর্বে কুমিল্লার দুটি ম্যাচ আছে। এরপর দ্বিতীয়পর্বে ঢাকায় হবে ১৬টি ম্যাচ। কুমিল্লার হবে চারটি ম্যাচ। ১৪ নবেম্বর পর্যন্ত সিলেটে দুটি ও ঢাকায় দুটি ম্যাচ শেষ হবে কুমিল্লার। সিলেটপর্ব তামিমের যে হাতছাড়া হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবেই বলে দেয়া যায়। তবে সিলেটপর্বের পর ঢাকাপর্ব শুরু হওয়ার আগে যদি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ভালভাবে সেরে নিয়ে ফিট হয়ে উঠতে পারেন তাহলে ঢাকাপর্ব থেকেই খেলতে পারবেন। যদি তা না পারেন তাহলে ঢাকাপর্বেও দুটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না তামিম। তামিমের মতো অবস্থা অবশ্য মুস্তাফিজের নয়। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই অনুশীলনের সময় এ্যাংকেলের ইনজুরিতে পড়েন মুস্তাফিজ। এ্যাংকেল মচকে যায়। তখনই মুস্তাফিজের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ হয়ে যায়। তবুও মুস্তাফিজকে দলের সঙ্গে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যদি ফিট হয়ে উঠতে পেরে ম্যাচ খেলতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব নয় ভেবেই মুস্তাফিজকে দেশে ফেরানো হচ্ছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে দুই ম্যাচের ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরছেন মুস্তাফিজ। দেশে ফিরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন মুস্তাফিজ। সাধারণত পা মচকে গেলে ৮ থেকে ১০ দিন বিশ্রাম নিতে হয়। এরপর একটু করে চলাফেরা করতে হয়। যদি ১৫ অক্টোবর হওয়া প্রথম ওয়ানডের আগেরদিনের হিসেব ধরা হয় তাহলে মুস্তাফিজের এ মাসেই ফিট হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ব্যথার তীব্রতার ওপরই সব নির্ভর করছে। প্রথমত মচকে যাওয়া এ্যাংকেলে হাঁটাচলার সময় ব্যথা হয় কিনা অস্বস্তি হয় কিনা তা দেখতে হবে। যদি ব্যথা বা অস্বস্তি কিছুই না হয় তাহলে বোলিং করে দেখতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি পুরো ফিট থাকেন মুস্তাফিজ তাহলেই আবার বল হাতে ফিরতে পারবেন। কিন্তু এইরকম অনুশীলনের সময় মচকে গেলে পেসারদের ফিরতে ২০ দিনের মতো সময়ও লাগে। সে হিসেবে মুস্তাফিজ ৫ নবেম্বরের আগে মাঠে ফিরতে পারবেন না। ৪ নবেম্বর মুস্তাফিজের দল রাজশাহীর খেলা রয়েছে। সিলেটপর্বে আরেকটি ম্যাচ রয়েছে। এমনও হতে পারে শেষ পর্যন্ত সিলেটপর্বেই ফিরতে পারেন মুস্তাফিজ। তবে এক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট যেহেতু ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে তাই শুরুতেই মুস্তাফিজকে নিয়ে রাজশাহী কিংসও কোন ঝুঁকি নিতে নাও পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো সিলেটপর্বে খেলা নাও হতে পারে মুস্তাফিজের। তামিম যে সিলেটপর্বে খেলতে পারবেন না তা নিশ্চিতই বলা যায়। মুস্তাফিজও শেষ পর্যন্ত একই পথের পথিকই হতে পারেন।
×