ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মতবিনিময়

প্রকাশিত: ০২:৫৬, ২২ অক্টোবর ২০১৭

মুন্সীগঞ্জে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে এ সভা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণের পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণ ও শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মতবিনিময়ে লিখিত বক্তব্যে কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মীর মাহফুজুল হক বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলাতে বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণ করা হয়েছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। জাতীয়করণ কলেজগুলোর সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারিকারী কর্মচারী হোক এটা নিয়েও আমাদের কোন বাধা নেই। কিন্তু আমাদের কথা হলো আমরা বিসিএস পাস করেছি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে। প্রথমত বিসিএস এর জন্য অবজেকটিভ, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবং শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে আমারা ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। অপরদিকে যারা জাতীয়করণ কলেজ থেকে এই ক্যাডারে আসবে তারা এ সকল কোনটিতেই অংশগ্রহণ না করে সরাসরি এ ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হবে। এ বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারি না। কিন্তু সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি করুক এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে তারা যেন আমাদের ক্যাডারে অর্ন্তভূক্ত না হতে পারে। সে বিষয়ে আমরা জোড়ালো দাবী জানাচ্ছি। আরোও জানানো হয় শিক্ষা ক্যাডার এমনিতেই নানামুখী সংকটে নিমজ্জিত। তার সাথে যুক্ত হতে চলেছে জাতীয়করণের তালিকায় থাকা ৩২৫টির মত বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণের আশংকা। কেননা অতীতে ক্যাডার সার্ভিস পরিপন্থী আত্তীকরণ বিধিমাল ২০০০ এর মাধ্যমে জাতীয়করণ করা কলেজসমূহের শিক্ষকদের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এ বিধিমালাটি সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের জন্য প্রয়োজ্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস ১৯৮০ ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮১ পরিপন্থী। আত্তীকরণ বিধিমালা ২০০০ বর্তমান থাকলে এ সকল কলেজের ২০,০০০ এরও অধিক সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকৃত হবে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি শিক্ষা ক্যাডারে বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণসহ অন্য যে কোনো প্রক্রিয়ায় শিক্ষক আত্তীকরণ সমর্থন করে না। অধ্যক্ষ বলেন, এ দাবির পক্ষে আমাদের অবস্থান সুষ্পষ্ট। বিসিএস পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত হয়েও ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশের যে কোন উদ্যোগ আমরা প্রতিহত করবে এবং আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয়করণের জন্য ঘোষিত বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন, নন-ক্যাডার ও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে বিধিমালা জারি করা না হলে ১৭ নভেম্বর ঢাকায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি মাহসমাবেশ ডেকে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি দিবেন বলেও ঘোষণা করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সহসভাপতি প্রফেসর ড. মীর মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে এতে আরও অংশ নেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সহসভাপতি সুভাস চন্দ্র হিরা, জেলা কমিটির সম্পাদক আব্দুল হামিদ মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফারুক মিয়া, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল হুসাইন, বিভাগীয় প্রধান নাজমুন নাহার, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল হান্নান খন্দকার, সহযোগি অধ্যাপক বিথিয়া সঞ্চিতা সমাদ্দার, সহকারী আধ্যাপক মাহবুব আলম, প্রভাষক মো. ফখরুল ইসলামসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। এই সময় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×