স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সহায়ক সরকারের পক্ষে জনমত গড়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপকালে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। এ বিষয়ে র্র্নিাচন কমিশন কী করে, সেদিকে সবাই চেয়ে আছে। রবিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, দেশজুড়ে সব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির মূল হোতা আওয়ামী লীগ ও এ দলের লোকেরা। তারা দেশকে পরনির্ভশীল করতেই শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সরকার দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে একে একে ধ্বংস করছে। দলীয়করণ করে শিক্ষার মান ধ্বংস করায় এ সেক্টরে সবচেয়ে বেশি নৈরাজ্য চলছে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবীদের রেখে ঘুষ-বাণিজ্যের মাধ্যমে দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার আর ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর যে সংলাপ হয়েছে, সেখানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দু’তিনটি দল ছাড়া সবাই জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সহায়ক ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অতীতে যাই করুন না কেন, এখন জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করতে পারলে ইতিহাসে তার স্থান ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে বিএনপি নেতারা মহাখুশি হয়েছেন এবং বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন স্বপ্ন দেখছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনার বক্তব্যেই প্রমাণিত হয় আপনারা নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার নীলনকশা আঁটছেন। কারণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি ঐতিহাসিক সত্য উচ্চারণ করতেই আপনারা বিচলিত হয়ে পড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক মনির উদ্দিন, আবদুস সালাম প্রমুখ।